কিভাবে বাইনারি ট্রেডিং করে সফলতা আনবো - সেরা কৌশল

 বাইনারি ট্রেডিং বর্তমান সময়ে অনলাইন ইনভেস্টমেন্টের একটি জনপ্রিয় মাধ্যম হয়ে উঠেছে। এটি ফরেক্স ট্রেডিংয়ের একটি সহজ সংস্করণ যেখানে ট্রেডারদের নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে একটি সম্পদের মূল্য বৃদ্ধি বা হ্রাস হওয়ার পূর্বাভাস দিতে হয়।
কিভাবে বাইনারি ট্রেডিং করে সফলতা আনবো - সেরা কৌশল
যদিও এটি লাভজনক হতে পারে, কিন্তু সঠিক জ্ঞান, কৌশল এবং অভিজ্ঞতা ছাড়া সফল হওয়া কঠিন। এই ব্লগ পোস্টে আমরা আলোচনা করবো কিভাবে বাইনারি ট্রেডিং করে সফলতা অর্জন করা যায়

বাইনারি ট্রেডিং কী?

বাইনারি ট্রেডিং হল এমন একটি ট্রেডিং পদ্ধতি যেখানে আপনাকে একটি নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে কোনো সম্পদের মূল্য বৃদ্ধির (CALL) বা হ্রাসের (PUT) পূর্বাভাস দিতে হয়। সঠিক পূর্বাভাস দিলে আপনি লাভ করেন, ভুল হলে আপনি আপনার বিনিয়োগ হারান।

মূল বৈশিষ্ট্যঃ

  • নির্দিষ্ট মেয়াদ (এক্সপায়ারি টাইম)
  • নির্দিষ্ট লাভ (ফিক্সড প্রফিট)
  • পূর্বানুমানের উপর নির্ভরশীল

বাইনারি ট্রেডিংয়ে সফল হওয়ার ধাপসমূহ

১. বাজার বিশ্লেষণ করুন

বাইনারি ট্রেডিংয়ে সফলতার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল বাজার বিশ্লেষণ করা। আপনি টেকনিক্যাল ও ফান্ডামেন্টাল অ্যানালাইসিসের মাধ্যমে বাজারের ভবিষ্যৎ গতিপথ সম্পর্কে ধারণা পেতে পারেন।

২. নির্ভরযোগ্য ব্রোকার নির্বাচন করুন

একটি নির্ভরযোগ্য বাইনারি অপশন ব্রোকার নির্বাচন করা গুরুত্বপূর্ণ। ব্রোকার নির্বাচনের সময় নিচের বিষয়গুলো বিবেচনা করুন:
  • লাইসেন্স এবং রেগুলেশন
  • ট্রেডিং প্ল্যাটফর্ম
  • পেমেন্ট অপশন
  • কাস্টমার সাপোর্ট

৩. ট্রেডিং কৌশল ব্যবহার করুন

সফল ট্রেডিংয়ের জন্য কিছু জনপ্রিয় কৌশল অনুসরণ করতে পারেন
  • ট্রেন্ড ফলোয়িং স্ট্রাটেজি: বর্তমান বাজার প্রবণতা অনুসরণ করা।
  • প্রাইস অ্যাকশন স্ট্রাটেজি: মূল্যের মুভমেন্ট বিশ্লেষণ করা।
  • নিউজ ট্রেডিং: অর্থনৈতিক খবরের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করা।

৪. মানি ম্যানেজমেন্ট এবং রিস্ক কন্ট্রোল

  • সফল ট্রেডারদের মূল মন্ত্র হল মানি ম্যানেজমেন্ট এবং রিস্ক কন্ট্রোল।
  • ট্রেডের উপর নির্দিষ্ট সীমা নির্ধারণ করুন
  • একবারে বড় পরিমাণ বিনিয়োগ করবেন না
  • ইমোশনাল ট্রেডিং এড়িয়ে চলুন

৫. ডেমো একাউন্ট ব্যবহার করুন

নতুন ট্রেডারদের জন্য ডেমো একাউন্ট ব্যবহার করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি ব্যবহার করে আপনি ট্রেডিংয়ের কৌশল রপ্ত করতে পারেন এবং ঝুঁকি ছাড়া অনুশীলন করতে পারেন।

বাইনারি ট্রেডিংয়ে ভুল এড়ানোর উপায়

বেশিরভাগ ট্রেডার ব্যর্থ হন কিছু সাধারণ ভুলের কারণে। সফল হতে বাইনারি ট্রেডিং বর্তমান সময়ে অনলাইন ইনভেস্টমেন্টের একটি জনপ্রিয় মাধ্যম হয়ে উঠেছে। এটি ফরেক্স ট্রেডিংয়ের একটি সহজ সংস্করণ যেখানে ট্রেডারদের নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে একটি সম্পদের মূল্য বৃদ্ধি বা হ্রাস হওয়ার পূর্বাভাস দিতে হয়।

যদিও এটি লাভজনক হতে পারে, কিন্তু সঠিক জ্ঞান, কৌশল এবং অভিজ্ঞতা ছাড়া সফল হওয়া কঠিন। এই ব্লগ পোস্টে আমরা আলোচনা করবো কিভাবে বাইনারি ট্রেডিং করে সফলতা অর্জন করা যায়

বাইনারি ট্রেডিং কী?

বাইনারি ট্রেডিং হল এমন একটি ট্রেডিং পদ্ধতি যেখানে আপনাকে একটি নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে কোনো সম্পদের মূল্য বৃদ্ধির (CALL) বা হ্রাসের (PUT) পূর্বাভাস দিতে হয়। সঠিক পূর্বাভাস দিলে আপনি লাভ করেন, ভুল হলে আপনি আপনার বিনিয়োগ হারান।

মূল বৈশিষ্ট্যঃ

  • নির্দিষ্ট মেয়াদ (এক্সপায়ারি টাইম)
  • নির্দিষ্ট লাভ (ফিক্সড প্রফিট)
  • পূর্বানুমানের উপর নির্ভরশীল

বাইনারি ট্রেডিংয়ে সফল হওয়ার ধাপসমূহ

১. বাজার বিশ্লেষণ করুন

বাইনারি ট্রেডিংয়ে সফলতার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল বাজার বিশ্লেষণ করা। আপনি টেকনিক্যাল ও ফান্ডামেন্টাল অ্যানালাইসিসের মাধ্যমে বাজারের ভবিষ্যৎ গতিপথ সম্পর্কে ধারণা পেতে পারেন।

২. নির্ভরযোগ্য ব্রোকার নির্বাচন করুন

একটি নির্ভরযোগ্য বাইনারি অপশন ব্রোকার নির্বাচন করা গুরুত্বপূর্ণ। ব্রোকার নির্বাচনের সময় নিচের বিষয়গুলো বিবেচনা করুন:
  • লাইসেন্স এবং রেগুলেশন
  • ট্রেডিং প্ল্যাটফর্ম
  • পেমেন্ট অপশন
  • কাস্টমার সাপোর্ট

৩. ট্রেডিং কৌশল ব্যবহার করুন

সফল ট্রেডিংয়ের জন্য কিছু জনপ্রিয় কৌশল অনুসরণ করতে পারেন
  • ট্রেন্ড ফলোয়িং স্ট্রাটেজি: বর্তমান বাজার প্রবণতা অনুসরণ করা।
  • প্রাইস অ্যাকশন স্ট্রাটেজি: মূল্যের মুভমেন্ট বিশ্লেষণ করা।
  • নিউজ ট্রেডিং: অর্থনৈতিক খবরের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করা।

৪. মানি ম্যানেজমেন্ট এবং রিস্ক কন্ট্রোল

  • সফল ট্রেডারদের মূল মন্ত্র হল মানি ম্যানেজমেন্ট এবং রিস্ক কন্ট্রোল।
  • ট্রেডের উপর নির্দিষ্ট সীমা নির্ধারণ করুন
  • একবারে বড় পরিমাণ বিনিয়োগ করবেন না
  • ইমোশনাল ট্রেডিং এড়িয়ে চলুন

৫. ডেমো একাউন্ট ব্যবহার করুন

নতুন ট্রেডারদের জন্য ডেমো একাউন্ট ব্যবহার করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি ব্যবহার করে আপনি ট্রেডিংয়ের কৌশল রপ্ত করতে পারেন এবং ঝুঁকি ছাড়া অনুশীলন করতে পারেন।

বাইনারি ট্রেডিংয়ে ভুল এড়ানোর উপায়

চাইলে নিচের ভুলগুলো এড়িয়ে চলুনঃ
  • পর্যাপ্ত গবেষণা ছাড়া ট্রেড করা
  • উচ্চ লিভারেজ ব্যবহার করা
  • ইমোশনাল ডিসিশন নেওয়া
  • রিস্ক ম্যানেজমেন্ট না করা
বাইনারি ট্রেডিংয়ে সফলতা অর্জন করা সম্ভব তবে এটি ধৈর্য, পরিশ্রম ও সঠিক কৌশল অনুসরণের উপর নির্ভরশীল। বাজার বিশ্লেষণ, ব্রোকার নির্বাচন, ট্রেডিং কৌশল, মানি ম্যানেজমেন্ট এবং ধৈর্য ধরে ট্রেড করা সফলতার চাবিকাঠি।


বাইনারি ট্রেডিং কাকে বলে এবং বাইনারি ট্রেডিং কিভাবে শিখবো

বর্তমান সময়ে অনলাইন ইনভেস্টমেন্ট এবং ট্রেডিংয়ের বিভিন্ন মাধ্যমের মধ্যে বাইনারি ট্রেডিং অন্যতম জনপ্রিয় একটি পদ্ধতি। অনেকেই এটিকে সহজ এবং দ্রুত আয়ের উপায় হিসেবে দেখে থাকেন, কিন্তু সত্যি বলতে এটি একটি ঝুঁকিপূর্ণ বিনিয়োগ পদ্ধতি। 


তাই, এই ব্লগ পোস্টে আমরা বিশদভাবে আলোচনা করবো যে বাইনারি ট্রেডিং কী, এটি কীভাবে কাজ করে, এবং আপনি কীভাবে বাইনারি ট্রেডিং শিখতে পারেন।

বাইনারি ট্রেডিং কাকে বলে?

বাইনারি ট্রেডিং হলো একটি ফিনান্সিয়াল ট্রেডিং মডেল যেখানে ট্রেডার নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কোনো নির্দিষ্ট অ্যাসেটের (যেমন, স্টক, ফরেক্স, কমোডিটি) মূল্য বাড়বে নাকি কমবে তা পূর্বাভাস দেয়। যদি পূর্বাভাস সঠিক হয়, তাহলে লাভ হয়, আর ভুল হলে সম্পূর্ণ বিনিয়োগ হারাতে হয়।

বাইনারি ট্রেডিংয়ের দুটি প্রধান অংশ রয়েছে:

1.  কল অপশন (Call Option) – যদি ট্রেডার মনে করেন যে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে অ্যাসেটের মূল্য         বাড়বে, তাহলে তিনি কল অপশন কিনবেন।

2.  পুট অপশন (Put Option) – যদি ট্রেডার মনে করেন যে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে অ্যাসেটের মূল্য           কমবে, তাহলে তিনি পুট অপশন কিনবেন।

বাইনারি ট্রেডিং কীভাবে কাজ করে?

বাইনারি ট্রেডিং করার জন্য কিছু ধাপ অনুসরণ করতে হয়:
  1. একটি ট্রেডিং প্ল্যাটফর্ম নির্বাচন করা: প্রথমে একটি নির্ভরযোগ্য বাইনারি ট্রেডিং প্ল্যাটফর্ম বেছে নিতে হবে। উদাহরণস্বরূপ, Olymp Trade, IQ Option, Binomo ইত্যাদি জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম।
     2. অ্যাকাউন্ট তৈরি করা: ট্রেডিং শুরু করার জন্য প্ল্যাটফর্মে একটি অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে এবং              সেটি ভেরিফাই করতে হবে।

     3. ডেমো ট্রেডিং করা: নতুনদের জন্য প্রথমেই ডেমো অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে ট্রেডিং চর্চা করা                 ভালো।  এতে ঝুঁকি ছাড়াই অভিজ্ঞতা অর্জন করা যায়।


     4.  বাজার বিশ্লেষণ করা: ট্রেড করার আগে টেকনিক্যাল ও ফান্ডামেন্টাল বিশ্লেষণ করতে হবে।

     5.  ট্রেড প্লেস করা: বাজার বিশ্লেষণ করার পর, নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ট্রেড ওপেন করতে হবে।

    6.   রিস্ক ম্যানেজমেন্ট: সবসময় সঠিক রিস্ক ম্যানেজমেন্ট স্ট্র্যাটেজি অনুসরণ করা উচিত যাতে                 বড়          ক্ষতির সম্মুখীন হতে না হয়।

বাইনারি ট্রেডিং শিখতে হলে কী কী জানা দরকার?

বাইনারি ট্রেডিং শিখতে হলে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে:

১. টেকনিক্যাল অ্যানালাইসিস
  • ক্যান্ডেলস্টিক প্যাটার্ন
  • ট্রেন্ড লাইন
  • সাপোর্ট ও রেসিস্ট্যান্স
  • ইন্ডিকেটর (RSI, MACD, Moving Average ইত্যাদি)

২. ফান্ডামেন্টাল অ্যানালাইসিস
  • অর্থনৈতিক সংবাদ ও ইভেন্ট
  • মার্কেট সেন্টিমেন্ট
  • জিডিপি, বেকারত্ব হার, সুদের হার ইত্যাদির প্রভাব
৩. রিস্ক ম্যানেজমেন্ট
  • সঠিক স্টপ-লস সেট করা
  • ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট
  • ট্রেডিং প্ল্যান তৈরি করা

বাইনারি ট্রেডিং কি নিরাপদ?

বাইনারি ট্রেডিং উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ বিনিয়োগ পদ্ধতি হওয়ায় এটি সাধারণ ট্রেডিংয়ের তুলনায় বেশি সতর্কতার সাথে করতে হয়। অনেক দেশে এটি নিষিদ্ধ বা নিয়ন্ত্রিত। তাই ট্রেডিং করার আগে স্থানীয় আইন ও নিয়ম সম্পর্কে জেনে নেওয়া জরুরি। 


বাইনারি ট্রেডিং একটি আকর্ষণীয় বিনিয়োগ পদ্ধতি হলেও এটি উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ। তাই, শেখার প্রক্রিয়াটি সময় নিয়ে করতে হবে এবং কখনোই বিনিয়োগের সম্পূর্ণ অর্থ এতে খাটানো উচিত নয়। সঠিক জ্ঞান, কৌশল, এবং ধৈর্য থাকলে এটি থেকে লাভবান হওয়া সম্ভব।

বাইনারি ট্রেডিং এ সফল হওয়ার কিছু সেরা টেকনিক

বাইনারি ট্রেডিং বর্তমানে অর্থ উপার্জনের একটি জনপ্রিয় মাধ্যম হয়ে উঠেছে। এটি মূলত একটি পূর্বনির্ধারিত সময়ে একটি নির্দিষ্ট সম্পদের মূল্যের উত্থান-পতন অনুমান করার উপর ভিত্তি করে। অনেকেই এই ট্রেডিং থেকে লাভবান হলেও, অনেকে আবার লোকসানের সম্মুখীন হন। তাই সফল হতে হলে নির্দিষ্ট কিছু কৌশল অবলম্বন করা জরুরি।


১. শক্তিশালী ট্রেডিং পরিকল্পনা
প্রথমেই আপনাকে একটি নির্দিষ্ট ট্রেডিং পরিকল্পনা তৈরি করতে হবে। পরিকল্পনা ছাড়া ট্রেড করলে অধিকাংশ সময় লোকসান হবে।

২. ট্রেন্ড বিশ্লেষণ করা
প্রাইস মুভমেন্ট বিশ্লেষণ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মার্কেট ট্রেন্ড বুঝে তবেই সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত।


৩. রিস্ক ম্যানেজমেন্ট
প্রতিটি ট্রেডে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করুন এবং একক ট্রেডে পুরো মূলধন হারানোর ঝুঁকি নেবেন না।

৪. ইমোশনাল ট্রেডিং এড়ানো
অনেক ট্রেডার আবেগের বশে সিদ্ধান্ত নেন, যা অধিকাংশ ক্ষেত্রে ক্ষতির কারণ হয়।

৫. ডেমো অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করা
নতুন ট্রেডারদের জন্য ডেমো অ্যাকাউন্টে অনুশীলন করা একটি ভালো কৌশল। এটি রিয়েল ট্রেডের অভিজ্ঞতা প্রদান করে।

৬. টেকনিক্যাল এনালাইসিস শিখুন
বিভিন্ন ইন্ডিকেটর (যেমন, RSI, MACD, Bollinger Bands) ব্যবহার করে ভবিষ্যৎ বাজার প্রবণতা বিশ্লেষণ করতে হবে।


৭. অর্থ পরিচালনা (Money Management)
আপনার ক্যাপিটাল সঠিকভাবে ব্যাবহার করুন এবং একসাথে অনেক অর্থ ঝুঁকিতে ফেলবেন না।

৮. স্ট্র্যাটেজি অনুসরণ করুন
নিয়মিত এক স্ট্র্যাটেজি পরিবর্তন না করে একটি নির্দিষ্ট স্ট্র্যাটেজি অনুসরণ করুন।

ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা কৌশল

  • বাইনারি ট্রেডিংয়ে ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
  • সর্বদা নির্দিষ্ট শতাংশ মূলধন বিনিয়োগ করুন।
  • একবারে খুব বেশি ট্রেড করবেন না।
  • লস হলে দ্রুত পুনরুদ্ধারের চেষ্টা না করে পরিকল্পিতভাবে ট্রেড করুন।

সাধারণ ভুল এবং সেগুলো এড়ানোর উপায়

  • অতিরিক্ত লোভ: অল্প সময়ে বড় লাভের আশায় অতিরিক্ত বিনিয়োগ করা উচিত নয়।
  • সঠিক শিক্ষা ছাড়া ট্রেডিং: ট্রেডিং শেখার জন্য যথাযথ সময় ব্যয় করুন।
  • পরিকল্পনা ছাড়া ট্রেড: আগে থেকে স্ট্র্যাটেজি নির্ধারণ করুন।

সফল ট্রেডারদের অভ্যাস

  • নিয়মিত মার্কেট বিশ্লেষণ করুন।
  • নির্দিষ্ট ট্রেডিং রুলস অনুসরণ করুন।
  • আবেগ নিয়ন্ত্রণ করুন।
  • বড় ঝুঁকি এড়িয়ে চলুন।

বাইনারি ট্রেডিং কি বাংলাদেশে বৈধ সঠিক তথ্য

বাংলাদেশ ব্যাংক এবং অন্যান্য নিয়ন্ত্রক সংস্থা এখন পর্যন্ত বাইনারি ট্রেডিংকে বৈধভাবে অনুমোদন দেয়নি। বরং, এটি অননুমোদিত বিনিয়োগ পদ্ধতি হিসেবে বিবেচিত হয়।

বাংলাদেশ ব্যাংকের অবস্থান

বাংলাদেশ ব্যাংক স্পষ্টভাবে বলেছে যে বাইনারি ট্রেডিং এবং ফরেক্স ট্রেডিং বাংলাদেশে নিষিদ্ধ -  কারণঃ
  • এটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এবং প্রতারণামূলক কার্যক্রমের শিকার হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
  • এটি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমোদন ছাড়াই বৈদেশিক মুদ্রার লেনদেনের সুযোগ তৈরি করে।
  • অধিকাংশ অনলাইন বাইনারি ট্রেডিং প্ল্যাটফর্মগুলোর বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে।

বাংলাদেশের আইন ও নিয়ন্ত্রণ সংস্থাগুলোর মতামত

  • বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (BSEC): বাইনারি ট্রেডিং কোনো নিবন্ধিত বিনিয়োগ নয়।
  • বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (BTRC): অনেক বাইনারি ট্রেডিং ওয়েবসাইট ব্লক করা হয়েছে।
  • বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (BFIU): বাইনারি ট্রেডিং এর মাধ্যমে মানি লন্ডারিং হতে পারে।

বাইনারি ট্রেডিং করার ঝুঁকি ও প্রতারণার সম্ভাবনা

১. উচ্চ ঝুঁকি: এটি সম্পূর্ণ অনুমানের ভিত্তিতে হয়, যেখানে মূলধন হারানোর সম্ভাবনা বেশি।
২. প্রতারণার সম্ভাবনা: অনেক অনলাইন ট্রেডিং প্ল্যাটফর্ম স্ক্যাম হয়ে থাকে।
৩. বৈধতা সংকট: বাংলাদেশে এটি নিষিদ্ধ হওয়ায় আইনি জটিলতায় পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
৪. আর্থিক নিরাপত্তাহীনতা: লাভের নিশ্চয়তা নেই, বরং বড় ধরনের লোকসানের ঝুঁকি বেশি।

বিকল্প বিনিয়োগ পদ্ধতি

যদি আপনি বিনিয়োগ করতে চান, তাহলে কিছু আইনি এবং নিরাপদ বিকল্প রয়েছে:


  • শেয়ার বাজার (DSE, CSE): বাংলাদেশে শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করা নিরাপদ ও লাভজনক হতে পারে।
  • মিউচুয়াল ফান্ড: পেশাদার অর্থ ব্যবস্থাপকদের মাধ্যমে বিনিয়োগের সুযোগ।
  • ব্যাংক ফিক্সড ডিপোজিট: কম ঝুঁকিপূর্ণ এবং লাভজনক।
  • বৈধ ফরেক্স ট্রেডিং: যদি বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদিত প্রতিষ্ঠান থাকে, তবে তা ব্যবহার করা যেতে পারে।

লেখকের মন্তব্য

বাইনারি ট্রেডিং মূলত উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ একটি বিনিয়োগ কৌশল যা বাংলাদেশে আইনত নিষিদ্ধ। যারা এটি করতে চান, তাদের অবশ্যই ঝুঁকি সম্পর্কে ভালোভাবে জানা উচিত। বাংলাদেশে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা রক্ষার জন্য সরকার এবং নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলো এটি নিষিদ্ধ করেছে।

 তাই, বিনিয়োগের আগে অবশ্যই আইনি এবং নিরাপদ বিকল্পগুলোর দিকে নজর দেওয়া উচিত।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নিতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url