ফ্রিল্যান্সিং এর ভবিষ্যৎ কি - কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং করে সফলতা অর্জন করবো
বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর চাহিদা দিন দিন এমনভাবে বেড়েই চলছে যার কারণে চাকরি চাহিদা খুবই কম ফ্রিল্যান্সিং এর চাহিদা অনেকটা বেশি। আপনি যদি একজন নতুন হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনার সঠিক গাইডলাইন প্রয়োজন এবং বেসিক কনসেপ্ট গুলো জানার প্রয়োজন।
তো আজকের আর্টিকেলে আমরা এমন কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি ফ্রিল্যান্সিং এর ভবিষ্যৎ এবং ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ কিভাবে করতে হয় ফ্রিল্যান্সিং এর দিক দিয়ে বাংলাদেশ কততম স্থানে রয়েছে এই সব কিছু নিয়ে আজকের আর্টিকেলে সম্পন্ন আলোচনা করা হয়েছে।
ফ্রিল্যান্সিং কি এবং ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ কি বিস্তারিত জানুন
সহজ ভাষায় বলতে গেলে ফ্রিল্যান্সিং হচ্ছে একটি মুক্ত পেশা। যে কাজ আপনি আপনার ঘরে বসে ইন্টারনেট এবং কম্পিউটার ব্যবহার করে কাজটি সম্পূর্ন করে দেয়ার মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন সেই কাজই হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং। বিষয়টি আরো ক্লিয়ার ভাবে বলতে গেলে ফ্রিল্যান্সিং থেকে এক কথায় স্বাধীন এবং মুক্ত পেশা বলা হয়।
আমাদের এই বিশ্ব জুড়ে কোটি কোটি ফ্রিল্যান্সার রয়েছে। এই ফ্রিল্যান্সিংকে তারা ক্যারিয়ার হিসেবে বেছে নিয়েছে। এবং তারা সফল হয়েছে এবং অন্যদেরকেও ফ্রিল্যান্সিং শিখিয়ে সফল হতে অগ্রসর করতেছে। এতক্ষণ আমরা জানলাম ফ্রিল্যান্সিং কি? এখন আমরা জানবো ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ কি? ফ্রিল্যান্সিংয়ের অনেকগুলো কাজ রয়েছে।
সবগুলো কাজ নিয়ে যদি আমরা বিস্তারিত বলতে যাই আজকে আর্টিকেলে তাহলে শেষ করা যাবে না - আমি আপনাদের একটি কাজ সম্বন্ধে ধারণা দিয়ে এবং বাকি কাজগুলো কি কি তা জানিয়ে দিই - অনলাইনে সোশ্যাল মিডিয়াতে খেয়াল করলেই দেখতে পারবেন যে বিভিন্ন পোস্টার বা বিভিন্ন ব্যানার ইত্যাদি ডিজাইন করে পোস্ট করে ফেসবুকে যে কোন সোশ্যাল মিডিয়াতে।
আসলে এগুলো কি কাজ এই কাজ কিভাবে করে কি কনফিউশন লাগছে? সমস্যা নেই ক্লিয়ার করে দিচ্ছি - আমরা যখন বিভিন্ন জায়গাতে কোন ব্যানার পোস্টার অ্যাট্রাক্টিভ ডিজাইন করা দেখি যখন আমরা এগুলো বিষয়ে জানিনা তখন আমাদের মাথায় একটা কথায় আসে যে এগুলো কিভাবে করে - এবং এই কাজগুলো করে কে?
হ্যাঁ এই কাজটা হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিংয়ের একটা ক্যাটাগরির কাজ যে কাজটির নাম হচ্ছে গ্রাফিক্স ডিজাইন। ডিজাইনের অনেকগুলো কাজ রয়েছে যেমন, পোস্টার ডিজাইন, লোগো ডিজাইন, ভিডিও কনটেন্ট ক্রিয়েশন, ভিজিটিং কার্ড ডিজাইন ইত্যাদি যত ডিজাইন রয়েছে সবগুলোই গ্রাফিক্স ডিজাইনের কাজ। এই গ্রাফিক্স ডিজাইন হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিংয়ের একটা ক্যাটাগরি।
এরকম আরো অনেক ক্যাটাগরি রয়েছে যেমন ডিজিটাল মার্কেটিং, ফেসবুক মার্কেটিং, সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং ইত্যাদি ইত্যাদি এগুলো কাজ হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিংয়ের ক্যাটাগরির কাজ। আশা করি বিষয়টুকু ভালো ভাবে আয়ত্ত করতে পেরেছেন এবং ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন। যদি কোথাও বুঝতে সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন।
আমরা আরো সুন্দরভাবে বুঝিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব ইনশাল্লাহ। এবার চলুন নিচের অংশে এ বিষয়ে আরো বিস্তারিত জেনে নেই।
ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ কিভাবে করতে হয় সম্পূর্ন বিস্তারিত
ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ মূলত ঘরে বসে ইন্টারনেট এবং একটি ডিভাইস সে ডিভাইসটি কম্পিউটার অথবা ল্যাপটপ যেটাই হোক তার মাধ্যমে এক দেশ থেকে আরেক দেশের কাজ সম্পন্ন করে দিয়ে টাকা উপার্জন করা হয়। বিষয়টি আরো ক্লিয়ার করে বলতে গেলে ধরুন আপনি একজন ফ্রিল্যান্সার। আপনি হচ্ছেন বাংলাদেশের একজন বাসিন্দা।
আপনি বাংলাদেশে বসে থেকে বাইরের দেশের কাজ করে অর্থ উপার্জন করছেন। এক দেশ থেকে থেকে আরেক দেশের কাজ ঘরে বসে করে মূলত এভাবেই ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ করতে হয়। আপনি যখন নতুন অবস্থায় থাকবেন তখন আপনাকে ভাবতে হবে। এবং নির্দিষ্ট একটি দক্ষতা অর্জন করতে হবে। দক্ষতা অর্জন করার পর।
আপনি তখন সেই দক্ষতা কাজে লাগিয়ে ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ খুঁজে নিতে পারবেন। আপনি যখন নতুন অবস্থায় থাকবেন তখন এগুলো টপিক নিয়ে বেশি ঘাটাঘাটি করবেন এবং রিসার্চ করবেন ইন্টারনেটে :-
- গ্রাফিক্স ডিজাইন
- ডিজিটাল মার্কেটিং
- ওয়েব ডিজাইন
- কনটেন্ট রাইটিং
- মোবাইল অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট
- সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন
- ডাটা এন্ট্রি
- ব্লগিং
এগুলোর যে কোন একটি বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করার পর আপনি কাজ খুঁজে নিতে পারবেন এবং ক্লাইন্ট খুজে বের করতে পারবেন। এবং এই ক্লায়েন্ট পাওয়ার জন্য এবং প্রফেশনাল কাজ করার জন্য আপনাকে প্রফেশনাল মার্কেটপ্লেস একাউন্ট খুলতে হবে। প্রফেশনাল ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস রয়েছে এবং আপনি সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমেও ফ্রিল্যান্সিং করতে পারেন।
তো আপনাদের ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটিং, ফ্রিল্যান্সিং মার্কেট প্লেসে বিভিন্ন দেশের ক্লাইন্টরা তারা কাজের বিজ্ঞাপন দিয়ে থাকে এবং নির্দিষ্ট একটা অর্থ দিয়ে তারা ফ্রিল্যান্সার খোঁজেন। এবং তারা যাচাই করে নেন ফ্রিল্যান্সারদের তারা আসলেই কাজ পারে কিনা এবং তার কাজ ভালোভাবে করে দিতে পারবে কিনা। যদি তাদের পছন্দ হয়ে যায় তখন তাকে হায়ার করবে।
তারপর তাকে কাজ দিবে কাজ সম্পূর্ণ হয়ে গেলে তাকে নির্দিষ্ট একটা এমাউন্ট দিয়ে দিবে সেই মার্কেট অ্যাকাউন্টে অর্থটি জমা হবে। এভাবেই ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে কাজ করতে হয়। প্রফেশনাল ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসের নাম হলো - Upwork, Fiverr, Freelancer.com, Guru.com ।
ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার কেমন এবং ফ্রিল্যান্সিং এর ভবিষ্যৎ কি
ফ্রিল্যান্সিং যদি আপনি ভালোভাবে শিখতে পারেন এবং ভালোভাবে দক্ষতা অর্জন করতে পারেন।তাহলে এর উত্তর হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিংয়ের ভবিষ্যৎ খুবই উজ্জ্বল। দিন দিন ফ্রিল্যান্সিং এর সম্ভাবনা বেড়েই চলেছে। বিশ্বের ১৪ শতাংশে ফ্রিল্যান্সার আমাদের বাংলাদেশে রয়েছে। ফ্রিল্যান্সিং হচ্ছে একটি স্বাধীন এবং মুক্ত পেশা ।
যে কাজ আপনি আপনার ঘরে বসে থেকে ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের কাজ করে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন বিভিন্ন উপায়ে। এখানে আপনি নিজের মতো করে আপনার সময় ও কাজের ধরন নির্বাচন করে নিতে পারবেন। এ বিষয়ে যদি বলতে চাই এই ফ্রিল্যান্সিংয়ের ক্যারিয়ার এবং ভবিষ্যৎ কেমন হবে তাহলে একটা কথায় বলবো।
ফ্রিল্যান্সিং যদি আপনি খুব ভালোভাবে শিখে কাজে লাগতে পারেন। তাহলে আপনার জন্য ফ্রিল্যান্সিং এর ক্যারিয়ার হবে খুবই সুন্দর এবং উজ্জ্বল। আপনার ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল হবে এবং আপনি জীবনে সফল ব্যক্তি হবেন। ফ্রিল্যান্সিং এর স্বাধীনতা নিয়ে যদি বলতে চায় তাহলে বলব ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য আপনাকে নির্দিষ্ট কোন অফিসে যাওয়ার কেউ চাপ দিবে না।
আপনি আপনার ইচ্ছেমতো যে কোন সময় সময় বের করে আপনি সেই কাজটি করতে পারবেন। তারপর আপনার কাজের স্বাধীনতা কেমন হবে? এ বিষয়ে বলব ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য আপনি আপনার ইচ্ছা মত সময় বের করে আপনার ইচ্ছা মত কাজ করতে পারবেন এর চেয়ে আর কত স্বাধীনতা নিবেন আপনি বলুন? আপনি সব হিসেবে ল্যান্ডিং করতে পারবেন।
যেমন কনটেন্ট রাইটিং করা গ্রাফিক্স ডিজাইন করা বিভিন্ন ছবি আর্ট করা ইত্যাদি। শখ হিসেবে আপনি ফিলিং করতে পারবেন এবং নারীরাও এগুলো ফ্রিল্যান্সিং করে বহুত টাকা ইনকাম করছে। ফ্রিল্যান্সিং এর ভবিষ্যৎ সম্পর্কে যদি আরো বলতে চাই তাহলে প্রথমে বলবো ফ্রিল্যান্সিং করে ইনকামের যে বিষয়টা রয়েছে সে বিষয় নিয়ে।
ফ্রিল্যান্সিং করে আপনি বেশি বেশি ইনকাম করতে পারবেন। আপনি যখন একটি কাজ নিয়ে বেশি দক্ষতা অর্জন করে ফেলবেন তখন সেই কাজ করে আপনি অতিরিক্ত টাকা আয় করতে পারবেন যা বলার বাহিরে। তাই সবসময় একটি কথা বলব প্রথমে আগে আপনি টাকার চিন্তা করবেন না টাকার চিন্তা না করে ফ্রিল্যান্সিংয়ের যে কোন একটি কাজ ভালো হবে সেই কাজের দক্ষতা অর্জন করুন।
আপনি যদি কাজে দক্ষ হন তাহলে টাকা এমনি এমনি চলে আসবে আপনি কাজ পারলে আপনাকে মানুষ খুঁজে নিবে। তখন আপনি টাকা খুঁজতে যাবেন না টাকা আপনাকে খুঁজে বের করবে ইনশাল্লাহ। তাই সবসময় ফোকাস করুন আপনার ফ্রিল্যান্সিং কাজের দিকে। সবসময় চেষ্টা করবেন কাজটি ভালোভাবে শেখার এবং ভালোভাবে আপনার ক্লাইন্টকে উপহার দেওয়ার জন্য।
তাহলে আপনি আপনার ক্লায়েন্টের কাছ থেকে ভালো মানের একটি অ্যামাউন্ট পাবেন। আশা করি এ বিষয় নিয়ে বিস্তারিত বুঝতে পেরেছেন যদি কোথাও সমস্যা হয়ে থাকে বুঝতে পারতে কোন জায়গায় সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। আমরা আরো সুন্দরভাবে বুঝিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করবেন ইনশাআল্লাহ।
ফ্রিল্যান্সিং এ বাংলাদেশের অবস্থান কত তম নতুন তথ্য
বাংলাদেশে তখনই ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজগুলো জনপ্রিয়তা পেয়েছে যখন বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের ঝুঁকি বেশি ছিল। তখন ঘর থেকে কেউ বের হতে পারছিল না এবং তারা শর্টকাট ইনকামের পথ খুজতে ছিল। এবং স্কুল কলেজের স্টুডেন্টরাও তখন ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার কথা ভাবছিল। এভাবে খুঁজতে খুঁজতে তারা ফ্রিল্যান্সিংয়ের সেক্টর হাতে পায়।
তারপর তারা ফ্রিল্যান্সিংয়ে লার্নিং শুরু করে দেয়। তবে করোনা ভাইরাস এর আগে থেকেও বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সিংয়ের অবস্থান অনেক ভালো ছিল। তবে করোনাভাইরাসের পর আরো বেশি ভালো পজিশনে চলে গিয়েছে। বাংলাদেশ হচ্ছে অন্যান্য দেশের থেকে ফ্রিল্যান্সিংয়ের দিক থেকে অনেক অন্যতম একটি দেশ। এবং ফ্রিল্যান্সিং এর দিক দিয়ে অনেক এগিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ।
করোনাভাইরাস এর সময় যখন স্টুডেন্টরা ফ্রিল্যান্সিং লার্নিং শুরু করেছিল এখন তারা সফল ফ্রিল্যান্সার। এখন তারা বিভিন্ন আইটি প্রতিষ্ঠান তৈরি করে ফ্রিল্যান্সিং শিখাচ্ছেন। এবং তাদের আয়ের পরিমাণ অনেক বেশি। তারা প্রতি মাসে লাখ লাখ টাকা ইনকাম করে থাকে। বলতে গেলে অন্যান্য ১০ টি দেশ থেকে বাংলাদেশ সবচেয়ে এগিয়ে আছে ফ্রিল্যান্সিং এর দিক দিয়ে।
বাংলাদেশ হচ্ছে দশটি দেশের মধ্যে অবস্থান করতেছে। অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশ ফ্রিল্যান্সিং এর দিক দিয়ে অনেক অনেক বেশি এগিয়ে গিয়েছে। ফ্রিল্যান্সিং এ বাংলাদেশের অবস্থান কততম স্থানে রয়েছে এটি বাংলাদেশ সরকার গণনা করে দেখতে পায় বাংলাদেশের অবস্থান রয়েছে অষ্টম এবং ভারতের অবস্থান হচ্ছে সপ্তম তম তারপর পাকিস্তানের অবস্থান রয়েছে চতুর্থতম।
তবে ফ্রিল্যান্সিংয়ের দিক দিয়ে বাংলাদেশ দ্বিতীয় তম। আশা করি বুঝতে পেরেছেন আর কোন জায়গায় যদি সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন আমরা সুন্দর করে বুঝিয়ে দেবো ইনশাল্লাহ।
বাংলাদেশে ফ্রিল্যান্সারের সংখ্যা কত - কত শতাংশ ফ্রিল্যান্সার বাংলাদেশে
বাংলাদেশের কত ফ্রিল্যান্সার রয়েছে এটার কোন সঠিক তথ্য উপাত্ত নেই। তবে ডব্লিউটিওর প্রতিবেদনে কোন সঠিক বিস্তারিত তথ্য নেই। বর্তমানে বাংলাদেশে কত ফ্রিল্যান্সার রয়েছে এই কথা বলা খুবই ডিফিকাল্ট। কারণ হচ্ছে যে বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এমন একটি জনপ্রিয়তা লাভ করে ফেলেছে কেউ যদি এখন ফ্রিল্যান্সিং শুরু করে সেই তথ্য সরকারের কাছে নেই।
বাংলাদেশের মানুষ গণনা করো যতটা সহজ। বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সার গণনা করা অতটাও সহজ না। তবে বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সাররা দিন দিন অনেক দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। যা বলার বাইরে সরকার ২০২৩ সালে রিপোর্ট জানিয়েছিল বাংলাদেশে প্রায় ৬ লক্ষ ৫০ হাজার ফ্রিল্যান্সার রয়েছে। এবং তাদের মধ্যে ৫ লক্ষ ফ্রিল্যান্সার নিয়মিত কাজ করে এবং ডলার আয় করেন।
এই রিপোর্টটি বাংলাদেশের সরকারের এবার থেকে নেওয়া হয়েছিল। এবং এটি ২০২৩ সালে প্রথম মাসে প্রকাশ করা হয়েছিল। এই রিপোর্ট অনুযায়ী এবং আমাদের মার্কেটপ্লেস যতগুলো রয়েছে ধরুন ফাইবার আপওয়ার্ক গুরু ইত্যাদি যতগুলো মার্কেটপ্লেস রয়েছে এগুলো কাউন্ট করে হিসাব করে দেখতে গেলে, বাংলাদেশে প্রায় ১০ লক্ষ ফ্রীলান্সার রয়েছে।
যারা কিনা প্রতিদিন নিয়মিত কাজ করে মোটা অংকের ডলার উপার্জন করে থাকে। বিষয়টি যদি আরো ক্লিয়ার করে বলতে যাই তাহলে বাংলাদেশে ফ্রিল্যান্সিং ডেভেলপমেন্ট সোসাইটির চেয়ারম্যান তানজিবুর রহমান রয়েছেন এবং তিনি জানালেন যে বাংলাদেশে ১৫৩ টি মার্কেটপ্লেসে কাজ করা হয়। ১৫৩ টি মার্কেট প্লেসে হিসাব করলে দেখা যায়।
ফ্রিল্যান্সারের সংখ্যা রয়েছে প্রায় ১০ লাখ এর কাছাকাছি। এবং দিন দিন তার থেকে বেশি বৃদ্ধি পাচ্ছে। সহজ ভাষায় বলতে গেলে এখন আপনারা কনফার্ম থাকেন যে বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সার রয়েছে প্রায় দশ লাখেরও বেশি। এখন দেখুন অন্য দিক দিয়ে হিসেব করে দেখা যায় upwork market প্লেসে রয়েছে বাংলাদেশী ফ্রিল্যান্সার টোটাল ৮ লক্ষের অধিক।
তারপর ফাইবারে আবার হিসাব করে দেখা যায় upwork এর থেকে ফাইবারে বাংলাদেশী ফ্রিল্যান্সার বেশি কাজ করে। তাহলে এখানে কি বুঝলেন upwork এর থেকে ফাইবারের ফ্রিল্যান্সার তার থেকেও বেশি রয়েছে? হ্যাঁ upwork এর থেকে ফাইবারে দ্বিগুণ ফ্রিল্যান্সার বেশি রয়েছে। এদিক দিয়ে হিসাব করে দেখতে গেলে দশ লক্ষ অতিক্রম করে পার হয়ে যাবে ফ্রিল্যান্সারের সংখ্যা।
তাই কখনো নির্দিষ্ট ভাবে বলা যায় না যে ফ্রিল্যান্সারের সংখ্যা কত রয়েছে বাংলাদেশে। ফ্রিল্যান্সারের সংখ্যা বলা অসম্ভব একটি বিষয়, ফ্রিল্যান্সিং হচ্ছে একটি মুক্ত পেশা এই পেশার ভিতর অনেকগুলো সেক্টর রয়েছে। অনেকগুলো ভাগে ভাগে সেক্টর গুলো রয়েছে।
তাই এই কাজের ফ্রিল্যান্সার কতজন রয়েছে এটা কখনোই বলা সম্ভব না। তবে আপনি যদি চান তাহলে বলতে পারেন আনুমানিকভাবে ১০ লক্ষ freelancer এর অধিক ফ্রিল্যান্সার বাংলাদেশের রয়েছে।
বাংলাদেশে ফ্রিল্যান্সিং এর ভবিষ্যৎ কেমন
একজন বাংলাদেশী ফ্রিল্যান্সারের ভবিষ্যৎ খুবই সুন্দর এবং উজ্জ্বল ময়। একজন বাংলাদেশী ফ্রিল্যান্সার যদি সঠিক গাইডলাইনে সঠিকভাবে ফ্রিল্যান্সিং শিখে সে যদি ভালো একটি স্ক্রিল ডেভলপ করে। সে কাজে লাগায় তাহলে তার ভবিষ্যৎ বর্তমান দুইটাই অনেক সুন্দর হবে। বাংলাদেশে দিন দিন চাকরির চেয়ে ফ্রিল্যান্সিংয়ের চাহিদা বাড়তেছে।
আরো পড়ুনঃ কোন কাজ শিখলে ৩ মাসে ইনকাম করা সম্ভব
এবং বিশ্বজুড়েও দিন দিন ফ্রিল্যান্সারদের সংখ্যা বাড়তেছে। ফ্রিল্যান্সিং হচ্ছে একটি মুক্ত পেশা যেই কাজ আপনি নিজের ইচ্ছে মত যে কোন সময় আপনার নিজ ঘরে বসে। নিজের একটি ভালো দক্ষতা কাজে লাগিয়ে আপনার কম্পিউটারে বসে একটি ইন্টারনেট সংযোগের মাধ্যমে এক দেশ থেকে আরেক দেশের কাজ করে দিতে পারবেন।
জন্য শুধু দরকার কাজের দক্ষতা। অনেকে রয়েছে প্রথমে তারা পথ খুঁজে পায় না এবং সঠিক দিক নির্দেশনা পায় না কিভাবে তারা ফ্রিল্যান্সিং শুরু করবে। সঠিক দিকনির্দেশনা খুঁজে পাওয়ার জন্য এখন বাংলাদেশে বিভিন্ন আইটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। আপনি সেই প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠান যোগাযোগ করতে পারেন এবং তাদের সঙ্গে কথা বলে আপনি দেখে নিতে পারেন।
যে সে আইটি প্রতিষ্ঠান ভালো কিনা আইটি প্রতিষ্ঠান ভালো কিনা এটি চেনার উপায় হচ্ছে। আপনাকে ওই আইটি নিয়ে গুগলে ইউটিউবে ইন্টারনেটে সার্চ করতে হবে যে তাদের রিভিউ আছে কিনা। তাদের ওয়েবসাইট কিংবা ফেসবুক পেইজ ইউটিউব চ্যানেল এগুলো আছে কিনা। যদি এগুলো থেকে থাকে তাহলে আপনি একটা বিষয় দেখবেন যে তাদের সেই চ্যানেল পেজ।
এবং ওয়েবসাইট প্রফেশনাল টাইপ কিনা! যদি সবকিছু প্রফেশনাল টাইপ হয়ে থাকে এবং সবকিছু আপনার ঠিক থাকলে কে থাকে তাহলে আপনি সে আইডি প্রতিষ্ঠান কোর্স করতে পারেন। এবং আরও একটি বিষয় রয়েছে সেটি হচ্ছে তাদের আইটি প্রতিষ্ঠানের যারা আগে কোর্স করেছে। তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে এবং তাদের কাছ থেকে আপনাকে ভালোভাবে শুনতে হবে।
যে তারা আদৌ কি সাকসেস হয়েছে এবং টাকা ইনকাম করার পথ খুঁজে পেয়েছে। যদি প্রিভিয়াস শিক্ষার্থীরা প্রতিষ্ঠান সম্বন্ধে ভালো বলে থাকে এবং আপনাকে সব প্রমাণ দেখিয়ে থাকে তাহলে আপনি সেই আইটি প্রতিষ্ঠানে চোখ বন্ধ করে ভর্তি হতে পারেন। তো বিষয় হচ্ছে আপনি সঠিক গাইডলাইন অনুসরণ করে যদি আপনি ফ্রিল্যান্সিং শিখতে পারেন।
তাহলে আমি বলব বাংলাদেশ থেকে আপনার ভবিষ্যৎ আজীবন উজ্জ্বল থাকবে এবং আপনার ক্যারিয়ার ভালো পজিশনে চলে যাবে। মানুষ সরকারি চাকরি ছেড়ে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতেছে। শুধু দরকার একটা সঠিক গাইডলাইন আর একটা ভালো স্কিল তাহলে আপনি ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে ভালো কিছু করতে পারবেন ইনশাল্লাহ।
লেখকের শেষ মন্তব্য
প্রিয় পাঠক, আজকে আমরা এই আর্টিকেলে আলোচনা করেছি ফ্রিল্যান্সিং এর ভবিষ্যৎ নিয়ে এবং আপনি কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং করে সফলতা অর্জন করবেন। তারপর ফ্রিল্যান্সিং এর দিক থেকে বাংলাদেশ কততম স্থানে রয়েছে। এবং আপনি ফ্রিল্যান্সিং করে জীবনে সাকসেসফুল হবেন কিভাবে। তারপর বাংলাদেশে আবার ফ্রিল্যান্সিং এর ভবিষ্যৎ কেমন।
এই সকল বিষয় নিয়ে আজকের আর্টিকেল নিয়ে আমরা বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করেছি এবং সুন্দর করে বুঝিয়েছি। আশা করি আপনি সম্পূর্ণ আর্টিকেল পড়েছেন এবং যদি আর্টিকেল থেকে আপনি ভালো কিছু শিখতে পারেন এবং বুঝতে পারেন তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন।
এবং আপনার বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে শেয়ার করবেন। আমাদের ওয়েবসাইটে প্রতিনিয়ত এরকম তথ্য শেয়ার করা হয়। এরকম নতুন নতুন তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে প্রতিনিয়ত ভিজিট করুন ধন্যবাদ।
এই ওয়েবসাইটের নিতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url