ওয়েবসাইট কি ওয়েবসাইট তৈরি করে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করুন

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় পাঠক, আপনি কি একটি ওয়েবসাইট তৈরি করে প্রতি মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করার স্বপ্ন দেখতেছেন? আপনি যদি এই গুলা ভেবে থাকেন এবং চিন্তা করে থাকেন তাহলে আজকের আর্টিকেলটি আপনার জন্য অনেক উপকারী। আজকে আমরা একটি ওয়েবসাইট কি এবং ওয়েবসাইটের এ টু জেড এবং কিভাবে প্রতি মাসে লক্ষ টাকা ইনকাম করবেন।
ওয়েবসাইট কি ওয়েবসাইট তৈরি করে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করুন
এই সবকিছু নিয়েই আজকে আমাদের এই পোস্ট। আপনি যদি একটি ওয়েবসাইট তৈরি করে প্রতি মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করার স্বপ্ন দেখে থাকেন। তাহলে আমাদের এই পোস্ট টি মনোযোগ সহকারে শেষ পর্যন্ত পড়ুন। ওয়েবসাইট তৈরি থেকে শুরু করে সব কিছু নিয়ে এই আর্টিকেলে আলোচনা করা হয়েছে 

ওয়েবসাইট কি ওয়েবসাইট কাকে বলে সম্পূর্ণ বিস্তারিত

অনেকেই আছেন ওয়েবসাইট কি ওয়েবসাইটের সঠিক সংজ্ঞা জানেনা। সহজ ভাষায় বলতে গেলে আমরা ইন্টারনেটে বা অনলাইনে জগতে যা যা দেখতে পায় ওই সব কিছুকেই ওয়েবসাইট বলা হয়। যেমন ধরুনঃ ফেসবুক, গুগল, ইউটিউব, ইত্যাদি এই সবগুলোকে একত্রে ওয়েবসাইট বলা হয়। বিষয়টি আরো সহজ ভাবে বলতে গেলে ইন্টারনেট ব্যবহার করে আমরা যেগুলো ব্রাউজ করি।

এবং ব্রাউজ করে আমরা ছবি ভিডিও যা দেখতে পাই যেখানে আমরা ছবি ভিডিও পাই ওইটাকেই ওয়েবসাইট বলা হয়। ইন্টারনেটে এখন সব কিছুই ওয়েবসাইটের আওতাভুক্ত। একটি ওয়েবসাইট মূলত এইচটিএমএল সিএসএস জাভা স্ক্রিপট এগুলো প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ দিয়ে তৈরি করা হয়। একটি ওয়েবসাইট তৈরি করা হয়ে গেলে সে ওয়েবসাইটের একটি নাম দিতে হয়।
যার ফলে ডোমেইন ক্রয় করতে হয়। ডোমেইন ক্রয় করে আপনি যদি ওয়েবসাইটে সেটআপ করেন আপনার ডোমেইন। তাহলে যে কোন ব্রাউজারে গিয়ে আপনার ডোমেইন নাম দিয়ে সার্চ করলে আপনার কাঙ্খিত ওয়েবসাইট তার কাছে শো করবে সে দেখতে পারবে।

ডোমেইন কি সম্পূর্ণ বিস্তারিত জানতে পারবেন আরো করুন সেকশনে অ্যাড করে দেয়া হলো পরবর্তী আর্টিকেলের আপনারা চাইলে ওই লিংকে ক্লিক করে জেনে নিতে পারেন।

ওয়েব পেইজ কি ওয়েব পেইজ কাকে বলে

আপনি একটি ওয়েবসাইট তৈরি করলেন তারপর ওয়েবসাইটে আপনি আপনার আর্টিকেল ছবি এগুলো পাবলিশ করলেন। আপনার কাঙ্খিত ওয়েবসাইটে প্রবেশ করার পর যেগুলো শো করে যে পৃষ্ঠা শো করে ওই পৃষ্ঠাকেই বলা হয় ওয়েব পেইজ । বইয়ের পেইজ ওয়েবসাইটের পেইজ অনেকটা আলাদা। আরো সহজ ভাষায় বলতে গেলে ধরুন আপনি যে কোন ব্রাউজার থেকে।
ইউটিউব কিংবা ফেসবুকে প্রবেশ করলেন ইউটিউবে প্রবেশ করলে দেখতে পারবেন সেখানে ভিডিও কনটেন্ট ভিডিও কনটেন্ট একটা পেইজ এর মধ্যে সাজিয়ে গুছিয়ে ডিজাইন করা রয়েছে। ওই পেইজকেই বলা হয় ওয়েব পেইজ। একইভাবে ফেসবুকে আপনি যদি প্রবেশ করেন তাহলে ফেসবুকে প্রবেশ করলে দেখতে পারবেন।

সেখানে অনেক ধরনের পোস্ট অনেক ধরনের ভিডিও থেকে থাকে। ফেসবুকে ঢোকার পর আপনার চোখের সামনে যে পেইজটি ওপেন হবে ওই পেইজকেই বলা হয় ওয়েব পেইজ। এই পেইজগুলোর আবার বিভিন্ন ভাগ রয়েছে যেমন হোম পেইজ তারপর সার্চ ইঞ্জিন পেইজ। আপনি যদি গুগল সার্চ ইঞ্জিন পেইজে যে কোন কিছু লিখে সার্চ করেন।
তাহলে সরাসরি আপনাকে সার্চ ইঞ্জিন রেজাল্ট পেইজে নিয়ে যাবে। ইঞ্জিন রেজাল্ট পেইজে আবার অনেকগুলো ওয়েবসাইটের লিংক শো করবে। আপনি সেখান থেকে আপনার পছন্দমত যেকোনো একটি লিংকে ক্লিক করে ওয়েব পেইজের ভিতরে প্রবেশ করতে পারবেন।

আপনি যে আমাদের এই আর্টিকেলটি পড়ছেন আপনি যে অবস্থায় রয়েছেন এবং আপনার চোখের সামনে আমাদের ওয়েবসাইটের পেইজ টা শো করছে এই পেইজকেও ওয়েবপেইজ বলা হয়। আশা করা যায় আপনি সম্পূর্ণ ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন।

ওয়েবসাইট কিভাবে তৈরী করতে হয়

ওয়েবসাইট কিভাবে তৈরি করতে হয় এগুলো বিষয় নিয়ে আজকে আমরা আপনাদের থিওরি দিব। এবং ওয়েবসাইট কিভাবে তৈরি করতে হয় এর বেসিকটা আপনাদের বুঝিয়ে দেব। একটা ওয়েবসাইট তৈরি করতে হলে প্রথমে আপনাকে প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ জানতে হবে। কি কনফিউশন লাগছে প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ আবার কি? হ্যাঁ প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ হচ্ছে যে এক ধরনের কোড স্ট্রাকচার।
কোডিং এর মধ্যে রয়েছে অনেকগুলো প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ যেমন, html, CSSসিএসএস, JavaScriptজাভা স্ক্রিপ্ট, Bootstrap, Python পাইথন। এগুলো প্রোগ্রামিং ভাষা এবং কোডিং জানতে হবে। এইগুলো কোডিং করে একটা ওয়েবসাইট তৈরি করতে হয়। একটা ওয়েবসাইট তৈরি করতে হলে অনেকগুলো ধাপ রয়েছে সেই ধাপগুলোর মধ্যে প্রধান ধাপ হচ্ছে এইটা। 

শুধু ওয়েব ডিজাইন করলে হবে না, ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট ও করতে হবে। আপনি যদি একটা ওয়েবসাইট নিজে তৈরি করতে চান তাহলে তিনটি কাজ জানতে হবে এবং তিনটি কাজ জানা লোকের শরণাপন্ন হতে হবে সে তিনটি কাজ হচ্ছে এক গ্রাফিক্স ডিজাইন, দুই ওয়েব ডিজাইন, এবং তিন ওয়েব ডেভলপিং। ওয়েবসাইট তৈরি করার জন্য এই তিনটি কাজের অনেক প্রয়োজন।
এই তিনটি কাজ ছাড়া আপনি ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারবেন না। যদি আপনার ওয়েবসাইট তৈরি করা সম্পন্ন হয়ে যায় তাহলে সেটি গুগল সার্চ ইঞ্জিনে পাবলিশ করতে হবে তার জন্য আপনাকে ডোমেইন- হোস্টিং ক্রয় করে। আপনার ওয়েবসাইটে সেটাপ করতে হবে তারপর আপনার ওয়েবসাইটটি গুগলে পাবলিশ করতে হবে। 

তখন থেকে আপনার ওয়েবসাইট গুগলে কেউ যদি সার্চ করে তাহলে আপনার ওয়েবসাইটটি পেয়ে যাবে। আমরা শুধু এই অংশে বেশি কনসেপ্ট নিয়ে আলোচনা করেছি। আরও সুবিন্যস্ত ভাবে আলোচনা করব পরবর্তী অংশে। চলুন পরবর্তী স্টেপে যায়।

ওয়েবসাইট কত প্রকার ও কি কি

আমরা এর আগে জানলাম যে ওয়েবসাইট কি ওয়েবসাইট কিভাবে তৈরি করতে হয় এবং ওয়েবপেইজ কাকে বলে সকল কিছু জানলাম এখন আমরা জানব যে ওয়েবসাইট কত প্রকার কি কি সম্পূর্ণ বিস্তারিত। ওয়েবসাইটকে সাধারণত দুইটি ভাগে ভাগ করা হয় যেমনঃ
  • স্ট্যাটিক ওয়েবসাইট বা ওয়েব পেইজ (Static Website or Webpage)
  • ডাইনামিক ওয়েবসাইট বা ওয়েব পেইজ (Dynamic Website or Webpage)

স্ট্যাটিক ওয়েবসাইট বা ওয়েব পেইজ কি

যে সকল ওয়েবসাইটের তথ্য পরিবর্তন করা যায় না সব সময় ওই একই থেকে যায় সেগুলো ওয়েবসাইটকে স্ট্যাটিক ওয়েবসাইট বলা হয়। বিষয়টি আরো সহজ ভাবে বুঝিয়ে বলি চলুনঃ যে সকল ওয়েবসাইট শুধুমাত্র এইচটিএমএল ও সিএসএস ল্যাঙ্গুয়েজ দিয়ে ডিজাইন করা যায়। এবং এই ওয়েবসাইটে যতদিন না এই ওয়েবসাইটের মালিক নিজে কিছু চেঞ্জ করবেন না। 
ততদিন পর্যন্ত ওয়েবসাইটের কোন কিছু চেঞ্জ হবে না। যেমন অন্যান্য ওয়েবসাইটের কন্ট্রোল প্যানেল থাকে যেমন ধরুন ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইটের কন্ট্রোল প্যানেল থাকে ব্লগার ওয়েবসাইটের কন্ট্রোল প্যানেল থাকে। যেখান থেকে আপনি আপডেট করে নিতে পারবেন চেঞ্জ করে নিতে পারবেন। কিন্তু স্ট্যাটিক ওয়েবসাইটের ক্ষেত্রে তা করা সম্ভব না। 

স্ট্যাটিক ওয়েবসাইট যিনি কোডিং করে তৈরি করেছেন একমাত্র উনিই পারবেন ওই ওয়েবসাইটের তথ্য চেঞ্জ করতে ওয়েবসাইট কন্ট্রোল করতে। স্টাডি ওয়েবসাইট মূলত পোর্টফোলিও সাজানোর ওয়েবসাইট কে বলা হয়।

স্ট্যাটিক ওয়েবসাইট বা ওয়েব পেইজ এর সুবিধা

স্ট্যাটিক ওয়েবসাইট স্বল্প খরচে তৈরি করা যায় এবং এই ওয়েবসাইটের লোডিং ক্ষমতা অনেক বেশি হয়ে থাকে সহজেই এই ওয়েবসাইটের ওয়েব পেইজ এর সবকিছু পরিবর্তন করা যায়। এই ওয়েবসাইটে কোন ডেটাবেজ থাকে না। ডাটাবেজ না থাকার কারণে এই স্ট্যাটিক ওয়েবসাইট অনেক বেশি নিরাপদ। এই ছিল স্ট্যাটিক ওয়েবসাইট বা ওয়েব পেইজএর সুবিধা

স্ট্যাটিক ওয়েবসাইট বা ওয়েব পেইজ এর অসুবিধা

আপনি যদি স্ট্যাটিক ওয়েবসাইট তৈরি করে থাকেন। বা ধরুন আপনি কারো কাছ থেকে ক্রয় করে নিয়েছেন সেই ব্যক্তি হয়তোবা আপনার হাতের নাগালে নেই। তখন কিন্তু আপনি বিপদে পড়ে যাবেন। কারণ ধরুন আপনার ওয়েবসাইটে কিছু পরিবর্তন করার দরকার পড়লো ওই সময় আপনি চাইলেও কিন্তু নিজে নিজে কিছু পরিবর্তন করতে পারবেন না। 
যার ফলে যিনি আপনার ওই ওয়েবসাইট তৈরি করে দিয়েছিলেন উনার কাছে আপনাকে যেতে হবে এবং তার কাছ থেকে সবকিছু পরিবর্তন করে নিতে হবে। তখন সে কোডিং করে আপনার ওয়েবসাইটের তথ্য পরিবর্তন করে দিতে পারবে। আরো একটি অসুবিধা হচ্ছে ওয়েবসাইটের কোন ফাংশনালিটি থাকে না।

যিনি ব্যবহার করেন তার কাছে কিন্তু ইনপুট নেওয়ার ব্যবস্থা থাকে না। এগুলোই হচ্ছে স্ট্যাটিক ওয়েবসাইটের অসুবিধা। আশা করি স্ট্যাটিক ওয়েবসাইটের সুবিধা অসুবিধা সম্পর্কে পুরোপুরি জানতে পেরেছেন।

ডাইনামিক ওয়েবসাইট বা ওয়েব পেইজ কি

ডায়নামিক ওয়েবসাইট হচ্ছে পরিবর্তনশীল ওয়েবসাইট যেমন ধরুন ক্রিকেট খেলা কিংবা ফুটবল খেলার ওয়েবসাইটে ঢুকলেন। তো ওই ওয়েবসাইটে কিন্তু সেকেন্ডে সেকেন্ডে মিনিটে মিনিটে আপডেট দেখানো হয় আপডেট প্রকাশ করা হয়। এই যে আপডেট দিচ্ছে সেকেন্ড বা মিনিট পরপর যে তথ্য পরিবর্তন করছে এবং প্রকাশ করছে। 

এইগুলাকে ডায়নামিক ওয়েবসাইট বলা হয়। ডায়নামিক ওয়েবসাইটে যেকোনো তথ্য যেকোনো সময় পরিবর্তন করা যাবে কোন সমস্যা হবে না। ডায়নামিক ওয়েবসাইটের কন্ট্রোল প্যানেল আপনার কাছেই থাকবে। ধরুন আপনি একটি ডায়নামিক ওয়েবসাইট ক্রয় করেছেন কিংবা তৈরি করেছেন। সেই ডায়নামিক ওয়েবসাইটটির ফুল এক্সেস এবং কন্ট্রোল আপনার হাতে থাকবে।
যা আপনি ইচ্ছেমতো কন্ট্রোল করতে পারবেন। একটি ডায়নামিক ওয়েবসাইট তৈরি করতে অনেকগুলো প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ এর প্রয়োজন হয় অনেকগুলো প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ জানতে হয়। আশা করি ডায়নামিক ওয়েবসাইট কি এবং এটি কিভাবে কাজ করে সম্পূর্ণ বুঝতে পেরেছেন। চলুন এবার আমরা জেনে নেই ডায়নামিক ওয়েবসাইট এর সুবিধা ও অসুবিধা কি কি?

ডাইনামিক ওয়েবসাইট বা ওয়েব পেইজ এর সুবিধা

আপনি যদি ডায়নামিক ওয়েবসাইট তৈরি করে থাকেন তাহলে আপনি ডায়নামিক ওয়েবসাইটে। ইচ্ছা মত আপনার তথ্য আপডেট করতে পারবেন পরিবর্তন করতে পারবেন কোন সমস্যা হবে না। ডায়নামিক ওয়েবসাইটের কন্ট্রোল প্যানেলের অ্যাক্সেস আপনার কাছে থাকবে। যা আপনি ইচ্ছে মতো যখন তখন যে কোন তথ্য পরিবর্তন করে নিতে পারবেন। যে ছিল ডায়নামিক ওয়েবসাইটের সুবিধা।

ডাইনামিক ওয়েবসাইট বা ওয়েব পেইজ এর অসুবিধা

ডায়নামিক ওয়েবসাইটের অসুবিধা বলতে ডায়নামিক ওয়েবসাইট তৈরি করতে গেলে আপনার একটু টাকার প্রয়োজন বেশি লাগবে। কারণ ডায়নামিক ওয়েবসাইট তৈরি করতে গেলে অনেকগুলো প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ জানতে হবে। যদি আপনি এগুলো না জেনে থাকেন তাহলে একজন ওয়েবসাইট ডিজাইনার ডেভলপারকে দিয়ে বানিয়ে নিতে হবে। 

যাদেরকে বড় অংকের টাকা দিয়ে ওয়েবসাইট ডিজাইন ও developing করে নিতে হবে। আরো কিছু অসুবিধা রয়েছে যেমন আপনার যদি টেকনোলজি জ্ঞান না থেকে থাকে তাহলে নিয়ন্ত্রণ ও ওয়েবসাইট কন্ট্রোলিং আপনার দ্বারা একটু কঠিন হয়ে যাবে। 
আর এই ডাইনামিক ওয়েবসাইটের তথ্য হ্যাক হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। ডায়নামিক ওয়েবসাইটের ডেটা লোড হতে সময় একটু বেশি লেগে যায়। এই ছিল ডায়নামিক ওয়েবসাইটের অসুবিধা। আশা করি বিষয়টি সম্পূর্ণ বুঝতে পেরেছেন।

ওয়েবসাইট তৈরি করতে কি কি লাগে

একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে হলে প্রথমে আপনাকে জানতে হবে এবং বুঝতে হবে যে আপনি কি ধরনের ওয়েবসাইট তৈরি করতে চাচ্ছেন। অনেকেই ভেবে থাকে যে ওয়েবসাইট তৈরি করতে অনেক কিছু জানতে হয় কোডিং জানতে হয় প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ জানতে হয়। কিন্তু এটা ভুল ধারণা। ওয়েবসাইট মূলত দুই ভাগে ভাগ করা হয় এখন যেমনঃ
  • ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইট
  • ব্লগার ওয়েবসাইট
এই দুটি ভাগে ভাগ করা হয়। আপনি যদি এ দুটি প্লাটফর্ম এর মধ্যে যে কোন একটি বেছে নেন তাহলে এখানে আপনি সহজেই ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারবেন। আপনি যদি স্বল্প বাজেটের মধ্যে ওয়েবসাইট তৈরি করতে চান তাহলে এই দুটি প্লাটফর্ম সেরা। ব্লগার ওয়েবসাইট তৈরি করতে চাইলে প্রথমে দেখবেন যে ব্লগার এর ফ্রি থিম দেওয়া থাকে।
ওখান থেকে আপনি থিম পছন্দ করে সেটআপ করে নিতে পারবেন আপনার ওয়েবসাইটে। তারপর কিছু টাকা ব্যয় করে ডোমেইন কিনে আপনার ব্লগার ওয়েবসাইটে ডোমেইন সেটআপ করে তারপর গুগলে পাবলিশ করতে পারবেন আপনার ওয়েবসাইট। ওয়েবসাইট তৈরি করতে মূলত কয়েকটি জিনিস লাগে যেমন আপনার ধারণা আপনি কি ধরনের ওয়েবসাইট তৈরি করতে যাচ্ছেন।

ধরুন আপনি ব্লগার ওয়েবসাইট তৈরি করতে চাচ্ছেন-তাহলে একটা ডোমেইন কিনতে হবে ব্লগার থ্রি থিম পেয়ে যাবেন। যদি আপনার ফ্রি থিম পছন্দ না হয়ে থাকে তাহলে আপনি কিছু টাকা খরচ করে আপনি পেইড থিম কিনতে পারবেন। যার ফলে আপনার ওয়েবসাইট আরো আকর্ষণীয় দেখাবে। ওপর দিকে যদি ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইটের কথা বলি।
তাহলে আরো ভালো মানের ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারবেন ওয়ার্ডপ্রেসের ওয়েবসাইট অনেক বেশি হাই হয়ে থাকে আর ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইট কন্ট্রোল এক্সেস টা একটু কঠিন হয়ে থাকে। টেকনোলজি জ্ঞান না থাকলে এই ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইট কন্ট্রোল করতে পারবে না। তো প্রথমে আপনি ওয়েবসাইট তৈরি করার জন্য যেগুলো জেনে থাকবেন তার মধ্যে হচ্ছে
  • ডোমেইন (Domain)
  • হোস্টিং (Hosting)
  • এস এস এল সার্টিফিকেট (SSL Certificate)
  • থিম (Theme)
এই কয়টি বিষয়ে জানলেই হবে আর কিছু জানতে হবে না। একটি ওয়েবসাইট তৈরি করার জন্য এই কয়টি বিষয় অনেক গুরুত্বপূর্ণ।

কিভাবে ওয়েবসাইট তৈরি করে প্রতি মাসে লক্ষ টাকা ইনকাম করবেন

অনেকেই রয়েছে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করে সে ওয়েবসাইট থেকে গুগল এডসেন্সের মাধ্যমে প্রতি মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করে থাকে। কিন্তু এই খবর পাওয়ার পর অনেকেই চিন্তিত হয়ে পড়ে সেটা কিভাবে সম্ভব। হ্যাঁ সম্ভব আপনিও পারবেন তবে কিছু সময় ব্যয় করে কাজ শিখে। একটি ওয়েবসাইট তৈরি করে সে ওয়েবসাইটে প্রতিদিন কন্টেন্ট লেখার মাধ্যমে।
প্রতি মাসে আপনিও লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করতে পারবেন। আমরা আর্টিকেলে শুধু গাইডলাইন দেব এবং আপনাদের বুঝিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব কিভাবে করবেন এবং রাস্তাটা দেখিয়ে দেব। আপনি যদি ওয়েবসাইট তৈরি করে প্রতি মাসে লাখ লাখ টাকা ইনকাম করতে চান তাহলে। ভালো মানের একটা ওয়েবসাইট তৈরি করে ফেলুন সেটি কিনে কিংবা আপনি নিজেই।

সেটা একান্ত আপনার ব্যাপার। ওয়েবসাইট তৈরি করার পর আপনি যদি আর্টিকেল লেখা না জানেন তাহলে অবশ্যই আপনি আর্টিকেল লেখা শিখুন। গুগলে কিন্তু মানুষ বিভিন্ন কিছু জানার জন্য সার্চ করে থাকে। আপনি যখন যেকোন বিষয় নিয়ে আর্টিকেল লিখবেন আপনার আর্টিকেলটি ভালোভাবে এসইও করা থাকবে। আর সেটা যদি হয় পারফেক্ট আর্টিকেল।
তাহলে আপনার আর্টিকেল গুগলে র‍্যাঙ্ক করবে। আপনি এভাবে প্রতিদিন আর্টিকেল লিখতে থাকবেন আর আপনার ওয়েবসাইট থেকে অ্যাডসেন্সের মাধ্যমে টাকা ইনকাম হবে। আপনি যদি সম্পূর্ণ গাইডলাইন পেতে চান কিভাবে ওয়েবসাইট তৈরি করে প্রতি মাসে লক্ষ টাকা ইনকাম করবেন তাহলে অবশ্যই আমাদের। 

হোয়াটসঅ্যাপ নাম্বারে মেসেজ করবেন কিংবা মন্তব্য করবেন যে আপনি এ বিষয়ে আগ্রহ কিনা। আমরা আমাদের সর্বোচ্চ নেয়ার চেষ্টা করব আপনাদের হেল্প করার ইনশাল্লাহ।

ওয়েবসাইট খুলে কিভাবে টাকা আয় করা যায়

ওয়েবসাইট ফুলের আপনিও টাকা ইনকাম করতে পারবেন টাকা আয় করতে পারবেন। এটা করার জন্য আপনাকে প্রথমে যে কাজটি করতে হবে তার মধ্যে এক নাম্বার হচ্ছে আপনাকে ওয়েবসাইটের খুঁটিনাটি সবকিছু জানতে হবে। আমরা যে কোন বিষয় জানার জন্য গুগলে সার্চ দিয়ে থাকি এবং সার্চ রেজাল্টে বিভিন্ন ওয়েবসাইটের ভিজিট লিংক পায়। 
সেগুলো ওয়েবসাইটে ঢুকলে কিন্তু আমরা অনেক আর্টিকেল দেখতে পারব এবং সেই বিষয়ক আর্টিকেল দেখতে পারব। তাহলে বিষয়টা একটু লক্ষ্য করে দেখুন একটা ওয়েবসাইটের চাহিদা কত বেশি। এই ওয়েবসাইট তৈরি করে আপনি কিন্তু একসময় প্যাসিভ ইনকাম করতে পারবেন এবং ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। 

যার ফলে আপনাকে কঠোর পরিশ্রম করে কাজ করতে হবে। আপনি যদি সঠিক দিকনির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করে থাকেন তাহলে অল্প কিছুদিনের মধ্যে অল্প কিছু সময়ের মধ্যে আপনি ওয়েবসাইট খুলে ওয়েবসাইট থেকে টাকা ইনকাম করতে পারবেন ইনশাআল্লাহ। একটি ওয়েবসাইট তৈরি করে গুগল এডসেন্স থেকে প্যাসিভ ইনকাম করা যায়। 
আমরা এই পুরো আর্টিকেল জুড়ে শুধু সঠিক গাইডলাইন এবং পথ দেখিয়ে দিয়েছি। আপনার যদি আরও কোন তথ্য জানার থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদের জানাবেন হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ করবেন কিংবা। কমেন্ট সেকশনে কমেন্ট করবেন। 

আমরা ২৪ ঘন্টায় আছি আপনাদের পাশে আপনারা যখন সাপোর্ট চাইবেন তখনই আমরা সাপোর্ট করবো ইনশাল্লাহ। আপনার যদি আরও কিছু বিষয় জানার থেকে থাকে অবশ্যই আমাদের কমেন্ট করে জানাবেন।

লেখকের শেষ মন্তব্য

প্রিয় পাঠক আজকে আমরা জানলাম যে একটি ওয়েবসাইট কি? ওয়েবসাইট এর গুরুত্ব কতখানি? আরো যেনেছি একটি ওয়েবসাইট তৈরি করে গুগল এ্যাডসেন্স থেকে প্রতি মাসে কিভাবে লক্ষ টাকা ইনকাম করবেন? আশা করি আপনি এ আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনার না জানা তথ্য যানতে পেরেছেন। আপনি যদি এই আর্টিকেল থেকে বিন্দু পরিমান উপকৃত হয়ে থাকেন । 

তাহলে অবশ্যই আনার বন্ধু বান্ধবদের সজ্ঞে শেয়ার করবেন। যাতে করে তারাও উপকৃত হতে পারেন। আমাদের ওয়েবসাইটে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন ইনফরশেন দেওয়া হয় এবং ইনকাম রিলেটেড পোস্ট করা হয়।এরকম নতুন নতুন তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নিতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url