প্যাসিভ ইনকাম কি ? প্যাসিভ ইনকাম করে ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে টাকা ইনকাম

প্রিয় পাঠক, আপনি কি অনলাইন থেকে খুবই সহজে প্যাসিভ ইনকাম করতে চান ? তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য অনেক উপকারী । অনেকেই চাই যে পড়াশোনার পাশাপাশি কিংবা চাকরির পাশাপাশি একটা পার্ট টাইম অনলাইন ইনকাম । আর সেটা যদি হয় প্যাসিভ ইনকাম । তাহলে তো আর কোন কথাই নেই ।
প্যাসিভ ইনকাম কি ? প্যাসিভ ইনকাম করে ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে টাকা ইনকাম
প্যাসিভ ইনকাম মানে হচ্ছে যে বসে বসে ইনকাম ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে ইনকাম করাকেই বুঝায় । তো আপনি কোন কাজ করে খুবই তাড়াতাড়ি প্যাসিভ ইনকাম জেনারেট করতে পারবেন এসব কিছু নিয়ে এই আর্টিকেলে বিস্তারিত আলোচনা করব ইনশাআল্লাহ ।

প্যাসিভ ইনকাম কি ? কিভাবে করে বিস্তারিত

প্যাসিভ ইনকাম মানে কি ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে টাকা ইনকাম কথাটা কি আদৌ সত্য ? জি পাঠক এই কথাটার মধ্যে কিছুটা সত্যতা রয়েছে এবং কিছুটা ভুল রয়েছে। আপনি যদি ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে টাকা উপার্জন করতে চান তাহলে সেটার জন্য আপনাকে প্রথমত অ্যাক্টিভলি কাজ করতে হবে । আপনি যদি অ্যাক্টিভলি কাজ না করে থাকেন তাহলে কখনোই আপনি প্যাসিভ ইনকাম করতে পারবেন না ।

চলুন আপনাদের একটি উদাহরণের মাধ্যমে বুঝিয়ে দি বিষয়টা । ধরুন একটা গ্রামে দুটি ছেলে থাকতো একটি ছেলের নাম রাকিব আরেকটি ছেলের নাম রাসেল । তো রাসেল এবং রাকিবদের গ্রামে পানির খুব সংকট ছিল। নদী থেকে পানি বহন করে নিয়ে আসতে হতো । এবং সেই কাজ করার জন্য তাদের অনেক পরিশ্রম করতে হয়। 
এবং তারা তাদের পাত্রে পানি নিয়ে আসে এবং নিয়ে এসে তাদের গ্রামের একটা অংশে পানি জমা করে রাখে । এবং সেখান থেকে পানি বিক্রি করে পানি বিক্রি করে টাকা ইনকাম করে । একদিন রাকিবের মাথায় একটা বুদ্ধি আসে । রাকিব নদীতে একটা পাম্প লাগিয়ে দেয় এবং ওই পাম্পের লাইন তাদের গ্রাম পর্যন্ত নিয়ে চলে আসে । এবং সেখান থেকে পানি সাপ্লাই হয় । 

এই বুদ্ধি কাজে লাগিয়ে রাকিবকে আর পরিশ্রম করতে হয় না । রাকিব এখন চাইলেও বসে বসে টাকা ইনকাম করতে পারবে ।এবং যাদের পানির প্রয়োজন তারা নিজে নিজেই ওখান থেকে পানি ভরে নিতে পারবে । এখন আসি রাসেলের কথায় ধরুন রাসেল একদিন অসুস্থ হয়ে পড়ল তো রাসেল প্রতিদিন পানি বহন করে নিয়ে এসে বিক্রি করতো ।

যার ফলে সেখান থেকে সে অর্থ উপার্জন করতো ঢাকা ইনকাম করতো। এখানে রাসেলের ইনকাম কে বলা হয় একটিভ ইনকাম । কারণ রাসেল যদি একটিভ কাজ না করে তাহলে সে ইনকাম করতে পারবে না তার ইনকাম বন্ধ হয়ে থাকবে । ওই একই জায়গায় যদি রাকিবের কথায় আসা যায় তাহলে দেখবেন রাকিব ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে টাকা ইনকাম করতে পারবে ।

কারণ রাকিবের ইনকাম অ্যাক্টিভ ছিল একসময়, সেই অ্যাক্টিভ ইনকাম কে প্যাসিভ ইনকামে রূপান্তর করেছে । তো সহজ ভাষায় বলতে গেলে কোন প্রকার কাজকে আপনি যদি অটোমেশন করে দেন সেখানে যদি কোন কাজ না করতে হয় সেই কাছ থেকে যদি আপনার ইনকাম হয়ে থাকে তাহলে সেই ইনকাম কেই বলা হয় প্যাসিভ ইনকাম ।
আশা করি বিষয়টা বুঝতে পেরেছেন । তবে আপনি একটা কথা মাথায় রাখবেন ফ্রিল্যান্সিংয়ে যদি আপনি ভালো কিছু করতে চান তাহলে আপনাকে প্রথমত একটিভ ইনকাম করতে হবে একটিভ ভাবে কাজ করতে হবে । আপনি যদি কোন কাজ নাই জেনে থাকেন তাহলে সেটা কিভাবে আপনি ইনকাম এ রূপান্তর করবেন । 

তার জন্য তো আপনাকে কোন কাজ জানতে হবে তারপর সেই কাজটাকে অটমেশন করতে হবে । আশা করি প্যাসিভ ইনকাম নিয়ে আর কোন ভুল চিন্তা ধারণা নেই । চলুন আমরা এরপরে এঅ্যাক্টিভ ইনকাম সম্পর্কে জানব ।

অ্যাক্টিভ ইনকাম কি অ্যাক্টিভ ইনকাম কে প্যাসিভ ইনকামে রূপান্তর

ধরুন আপনি একটা কোম্পানিতে কাজ করছেন সেখানে কাজ করার ক্ষেত্রে হয় কি আপনি প্রতিদিন সকাল আটটায় অফিসে যাচ্ছেন । এবং আটটা থেকে শুরু করে বিকেল চারটা কিংবা পাঁচটা পর্যন্ত আপনাকে গাধার মতো পরিশ্রম করতে হয় অফিসে । তার বিনিময়ে আপনাকে মাসিক একটা বেতন দেয়া হয় । সাধারণত এই কাজটাকেই একটিভ ইনকাম বলা হয় । 

আরো সহজ ভাষায় বলতে গেলে ধরুন আপনি একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার । আপনি বিভিন্ন বায়ার এবং ক্লায়েন্টদের সঙ্গে কাজ করে থাকেন । আপনাকে ফাইবার মার্কেটপ্লেস থেকে একটা ক্লায়েন্ট আপনাকে মেসেজ দিয়ে বলল আমার লোগো ডিজাইন লাগবে । তখন আপনি কিছু টাকা কিংবা ডলারের বিনিময়ে তার লোগো ডিজাইন অ্যাক্টিভ ভাবে কম্পিউটারে বসে থেকে ।
গ্রাফিক্স ডিজাইন করে দিলেন । এই লোগো ডিজাইন করে দিয়ে যেই টাকাটা ইনকাম করলেন এই ইনকামকেই সাধারণত অ্যাক্টিভ ইনকাম বলা হয়ে থাকে । এখন আরো একটি বিষয়ে জানিয়ে দেই যে একটিভ ইনকাম কে কিভাবে প্যাসিভ ইনকাম এ রূপান্তর করব ? ধরুন আপনি গ্রাফিক্স ডিজাইন করে যেগুলো ডিজাইন তৈরি করেন ।

সেই ডিজাইনগুলো যদি আপনি অনলাইনে বিভিন্ন মাইক্রো স্টক সাইট রয়েছে ওইগুলো সাইটে আপনি নিজের ডিজাইনগুলো আপলোড করে রাখলে । সেখানে আপনি আপনার ডিজাইন ছবিগুলো যদি কেউ ডাউনলোড করে নেয় তাহলে সেখান থেকে একটা নির্দিষ্ট অর্থ কি নির্দিষ্ট টাকা আপনি পাবেন । এখন এই মাইক্রো স্টক সাইট যদি সারা জীবন থেকে থাকে ।

তাহলে এই সাইট থেকে আপনার সারা জীবন ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে টাকা ইনকাম হবে । এখানে শুধু ছবি আপলোড করে রেখে দিলেই আপনার ইনকাম হবে । এখানে আপনাকে অ্যাক্টিভলি কাজ করতে হবে না। 

প্যাসিভ ইনকাম আইডিয়া প্যাসিভ ইনকাম নিয়ে ভূল ধারনা

প্যাসিভ ইনকাম ইনকাম নিয়ে আমাদের অধিকাংশ সবারই মাথায় একটা ভুল ধারণা কাজ করে । অনেকে আমাদের প্রশ্ন করে থাকেন যে ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে টাকা ইনকাম করব কিভাবে । আসলে যারা বলে থাকেন যে ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে টাকা ইনকাম করবেন । এখানে যদি আপনি একটিভ ভাবে কাজ না করে থাকেন তাহলে সেখানে কিভাবে ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে টাকা ইনকাম করবেন ? 

তার ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে টাকা ইনকাম করার জন্য তো আপনাকে প্রথমত কাজ জানতে হবে কাজ করতে হবে এবং সেই কাজকে আপনাকে একটা অটোমোশন করতে হবে । এবং যার ফলে আপনার ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে টাকা ইনকাম করা সম্ভব হবে তবুও এই বিষয়টি অধিকাংশ ভুল হবে । কারণ ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে টাকা ইনকাম করা অত সম্ভব না । 
যেমন ধরুন আপনার একটা মাইক্রো স্টক মার্কেটপ্লেসে আপনার একাউন্ট রয়েছে, সেখানে যদি আপনি ডিজাইন নিয়মিত আপলোড না করেন তাহলে কি আপনার অর্থ উপার্জন করা সম্ভব টাকা ইনকাম করা সম্ভব কখনই না ? কারণ সেখানে ছবি আপলোড করতেও আপনাকে কাজ করতে হয় সেই ছবির এসিও করতে হয় এইটা তো এক্টিভ কাজ তাই না ? 

তো আমরা যারা ভেবে থাকি যে একেবারে ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে টাকা ইনকাম করব তাই এগুলো ভুল ধারণা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলে দিন । ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে টাকা ইনকাম করার জন্য যেগুলো কাজ দরকার যেগুলো কাজ আপনাকে প্রথমত জানতে হবে ভালোভাবে অর্জন করতে হবে সেগুলো কাজ নিয়ে আমরা পরবর্তী স্টেপ আলোচনা করছি।

প্যাসিভ ইনকাম করতে হলে সর্বপ্রথম যেগুলো কাজ জানতে হবে

প্যাসিভ ইনকাম করতে হলে আমাদের যেগুলো কাজ জানা জরুরী । সবকিছু নিয়ে আমরা নিচে আলোচনা করছি তার আগে আপনাদের আরো একটি বিষয়ে জানিয়ে রাখি । আপনি যখন একটিভ কাজকে প্যাসিভ কাজে রূপান্তর করবেন । তখন আপনি জীবনটাকে উপভোগ করতে পারবেন । এমন অনেক কাজ রয়েছে যে আপনি যেগুলো কাজ এক সময় করতেন একটিভ ভাবে ।
সেই কাজগুলো অন্য কাউকে শিখিয়ে । তাদেরকে কাজে লাগিয়ে দিয়ে আপনি ঘুরে বেড়িয়ে এবং ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে বসে বসে টাকা ইনকাম করতে পারবেন । তো কোনগুলো কাজ করলে আপনি এগুলো সুবিধা পাবেন সেই কাজগুলো নিয়ে আমরা নিচে বিস্তারিত আলোচনা করছি ।

প্যাসিভ ইনকাম কত প্রকার ও কি কি বিস্তারিত

আপনি যদি প্যাসিভ ইনকাম করতে চান তাহলে আপনাকে প্রথমে জানতে হবে প্যাসিভ ইনকাম কত প্রকার এবং প্যাসিভ ইনকাম গুলো কি কি এবং কোন কোন মাধ্যমে কাজ করলে আপনি প্যাসিভ ইনকাম জেনারেট করতে পারবেন । আজকে আমরা এই আর্টিকেলে আপনাদের ব্যাখ্যা করব সেরা পাঁচটি প্যাসিভ ইনকামের উপায় নিয়ে । 

এবং এই পাঁচটি কাজ শিখলে এবং এই পাঁচটি কাজে যদি আপনি এক্সপার্ট হন তাহলে আপনি খুবই দ্রুত প্যাসিভ ইনকাম শুরু করে দিতে পারবেন ইনশাআল্লাহ । তো চলুন আমরা দেখে নিয়েই পাঁচটি ইনকাম গুলো কি কি ।
  • ব্লগিং করে প্যাসিভ ইনকাম সহজ উপায়
  • ইউটিউবিং করে কনটেন্ট তৈরি করে ইনকাম করার সহজ উপায়
  • গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখে এবং গ্রাফিক্স ডিজাইন করে প্যাসিভ ইনকাম করার সহজ উপায়
  • ইনস্টাগ্রাম এর মাধ্যমে প্যাসিভ ইনকাম করার সহজ উপায়
  • Seo এর কাজ করে প্যাসিভ ইনকাম করার সহজ উপায়

ব্লগিং করে প্যাসিভ ইনকাম করার সহজ উপায়

ব্লগিং করে প্যাসিভ ইনকাম করা এই মাধ্যম টি এখন বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে । আপনি চাইলে প্রথমত ব্লগিং দিয়ে শুরু করতে পারেন আপনার ক্যারিয়ার গড়ার প্রথম ধাপ । ব্লগিং বলতে যেমন আমরা যে কোন বিষয় দিয়ে গুগলে সার্চ করে থাকি এবং google এ যেগুলো ওয়েবসাইটে দেখায় । আমরা সেগুলো ওয়েবসাইটে ভিজিট করে সেই পোস্টগুলো পড়ে থাকি।

এবং সে আর্টিকেলগুলো পড়ে থাকি । এবং কোন কিছু ইনফরমেশন জানার জন্য আমরা গুগলে সার্চ করি ইউটিউবে সার্চ করি। তো গুগলে যেগুলো ওয়েবসাইট দেখায় সেগুলো হচ্ছে ব্লগিং ওয়েবসাইট । আপনি যদি প্রথমত ব্লগিং শুরু করতে চান ব্লগিং করে আপনি প্যাসিভ ইনকাম করতে চান । তাহলে প্রথমত আপনাকে কিছু ইনভেস্টমেন্ট এর প্রয়োজন আছে।
যেমন একটা ওয়েবসাইট ডিজাইন করে নিতে হবে কিংবা ফ্রিতেও আপনি ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারবেন ব্লগিং ওয়েবসাইট । তবে আমাদের গাইডলাইন থাকবে যে আপনি ফ্রিতে ব্লগিং ওয়েবসাইট তৈরি করবেন না কারণ ফ্রিতে যদি ব্লগিং ওয়েবসাইট তৈরি করেন তাহলে আপনার এসইও ফ্রেন্ডলি ওয়েবসাইট হবে না ওয়েবসাইটের স্পিড ।

এবং ওয়েবসাইটের যত অ্যালগরিদম আছে সবকিছু স্লো হবে । এই কারণে গুগলে আপনার ওয়েবসাইট র‍্যাঙ্ক করানো অনেক কঠিন হয়ে যাবে । যদি আপনার একটি ওয়েবসাইট তৈরি হয়ে যায় তারপর আপনি সেখানে আপনার যেকোন কান্ট্রি সিলেক্ট করে যেমন ধরুন আপনি কোন দেশকে ভিত্তি করে আপনি আর্টিকেল দেখতে চান ।

কিংবা কোন দেশের ট্রাফিক নিয়ে আসতে চান আপনার ওয়েবসাইটে। যেমন ধরুন আপনি যদি বাংলা আর্টিকেল লেখালেখি করেন আপনার ওয়েবসাইটে তাহলে আপনাকে বাংলাদেশ এর উপর ভিত্তি করে আর্টিকেল লিখতে হবে এবং বাংলা আর্টিকেল লিখতে হবে । আর আপনি যদি চান যে না আমি বাংলা আর্টিকেল লিখব না আমি বাইরের দেশ সিলেক্ট করে ।
আমি সেগুলো দেশ এর ট্রাফিক নিয়ে আসব এবং সেগুলোর দেশের আমার ওয়েবসাইট ব্যাংক করাবো। তাহলে তখন আপনাকে ইংরেজিতে আর্টিকেল লিখতে হবে । তো প্রথমত যে বিষয়টি খেয়াল করতে হবে তা হচ্ছে ইংরেজিতে আর্টিকেল লেখা অনেক কঠিন হয়ে যাবে যার জন্য আপনি হতাশ হয়ে যাবেন । প্রথমত আপনাকে বাংলা দিয়ে শুরু করতে হবে ।

এবং বাংলাদেশ এর উপর ভিত্তি করে আপনাকে আর্টিকেল লিখতে হবে । এভাবে আপনাকে নিয়মিত প্রতিদিন আর্টিকেল লিখতে হবে এবং আপনার যদি ওয়েবসাইট এবং আপনার আর্টিকেল ভালো রেংক করে ভালো পজিশনে চলে যায় । তাহলে আপনার আর্টিকেলে ওয়েবসাইটের ভেতরে এডসেন্সের বিজ্ঞাপন দেখিয়ে আপনি ইনকাম করতে পারবেন ।

যখন আপনার ওয়েবসাইটটি বড় হয়ে যাবে অনেক ভিজিটর বৃদ্ধি পাবে । তখন অনেক কোম্পানি আপনার সঙ্গে যোগাযোগ করবে এবং বলবে যে আমার কোম্পানির বিজ্ঞাপন আপনার ওয়েবসাইটে এড করার । তখন আপনি নির্দিষ্ট অ্যামাউন্ট এর মাধ্যমে আপনার ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপন দেখিয়ে দিবেন । ব্লগিং করে ইনকাম করার অনেক উপায় রয়েছে।
আশা করি এই কয়েকটি উপায় দেখিয়ে দিলাম বুঝতে পেরেছেন বিষয়টি । যদি আরো কিছু জানার থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন আরো সুন্দর করে বুঝিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব । এবং কিভাবে আপনি ফ্রিতে একটি ব্লগিং ওয়েবসাইট তৈরি করবেন এগুলো জানতে আমাদের কমেন্ট করুন ।

ইউটিউবিং করে কনটেন্ট তৈরি করে ইনকাম করার সহজ উপায়

আপনার যদি ধৈর্য শক্তি থেকে থাকে তাহলে প্রথমত আপনি ইউটিভিং এবং কনটেন্ট ক্রিয়েটিং এর দিকে ফোকাস দিন । আপনি যদি একজন সবথেকে সেরা ইউটিউবার হয়ে যান তাহলে একজন ব্লগারের থেকে আপনার ইনকাম অনেক কম বেশি হয়ে থাকবে । আপনি চাইলেও ব্লগিং এবং ইউটিউবিং একসাথে শুরু করতে পারেন । 

আপনি প্রথমত আপনি ব্লগিং শুরু করতে পারেন এবং তারপর আপনি ইউটিউব শুরু করতে পারেন দিনে দিনে আপনার ব্লগিং সাইট জনপ্রিয় হতে থাকবে । তারপর আপনি আপনার youtube শুরু করতে পারেন । যখন আপনার ইউটিউবে ভিডিও তৈরি করা শুরু করবেন তখন আপনি আপনার সেই ব্লগিং ওয়েবসাইটে আপনার ভিডিও শেয়ারিং করতে পারবেন ।
তাহলে আপনি সেখান থেকে একটা ভালো পরিমাণের ভিজিটর নিয়ে আসতে পারেন আপনার ইউটিউব কনটেন্ট এ । দিন দিন ইউটিউবে ইউটিউবারের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে । মানুষ যে বিষয়ে google এ পায় না সে বিষয় নিয়ে ইউটিউবে সার্চ করে। 

আপনি যেকোন একটা নির্ধারিত ট্রপিক নিয়ে ব্লগ বা ভিডিও কনটেন্ট তৈরি করতে পারেন সেটা একান্ত আপনার ব্যক্তিগত ব্যাপার । ব্লগিং করে এবং ইউটিউবিং করে এই দুইটি মাধ্যমে হচ্ছে প্যাসিভ ইনকাম করার সেরা মাধ্যম ।

গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখে এবং গ্রাফিক্স ডিজাইন করে প্যাসিভ ইনকাম করার সহজ উপায়

আপনি যদি একজন গ্রাফিক্স ডিজাইন হয়ে থাকেন আপনি যদি ট্রাফিক ডিজাইন নিয়ে এক্সপার্ট হয়ে থাকেন । তাহলে বিভিন্ন স্টক সাইট রয়েছে সেগুলোতে আপনি ভালো ডিজাইন পাবলিশ করে সারা জীবন সেখান থেকে প্যাসিভ ইনকাম করতে পারবেন । তার জন্য আপনাকে কোয়ালিটি ফুল ডিজাইন জানতে হবে । আপনি প্রথমত চাইলে ।

আপনি গ্রাফিক্স ডিজাইন এর কিছু সফটওয়্যার রয়েছে যেমন adob photoshop তারপর institor এগুলো সফটওয়্যার এর অনেকগুলো টুলস রয়েছে । সেগুলো টুলস এর ব্যবহার ভালোভাবে জানতে হবে তারপর আপনি কয়েকটি ডিজাইন শিখতে পারেন তার মধ্যে রয়েছে যেমনঃ Flyer Card Design, Business Card Design, Birthday Card Design, Borchure Design.।
এগুলো কাজ যদি আপনি শিখেন এবং অভিজ্ঞতা অর্জন করে থাকেন তাহলে স্টক সাইটে ভালো কোয়ালিটি ফুল ডিজাইন পাবলিশ করে কাজ শুরু করতে পারেন । তার জন্য কোয়ালিটি ভালো হতে হবে ডিজাইনের । এবং কোয়ালিটি যদি ভালো না হয়ে থাকে তাহলে কোন প্রকার স্টক সাইটে কাজ করা যাবে না । কারণ এটা সারা জীবন থেকে যাবে ।

এবং এখান থেকে আপনি সারা জীবন প্যাসিভ ইনকাম করতে পারবেন । আপনি চাইলে প্রতিদিন দুই থেকে চার ঘণ্টা কাজ করে এবং এই কাজ ছয় মাস প্র্যাকটিস করে আপনি সুন্দর মতো প্যাসিভ ইনকাম শুরু করতে পারবেন । 

আশা করি বুঝতে পেরেছেন বিষয়টুকু এরপরেও যদি আপনার কোন কনফিউশন থেকে থাকে । তাহলে কমেন্ট করতে ভুলবেন না এবং কোন বিষয়ে আপনি বুঝতে পারেনি সে বিষয় টি বুঝিয়ে কমেন্ট করবেন ।

ইনস্টাগ্রাম এর মাধ্যমে প্যাসিভ ইনকাম করার সহজ উপায়

আপনি যদি Instagram এর মাধ্যমে প্যাসিভ ইনকাম করতে চান তাহলে আপনাকে প্রথমত Instagram মার্কেটিং এর কাজ জানতে হবে । আপনি যদি Instagram  মার্কেটিং এর কাজ না জানেন তাহলে কখনোই প্যাসিভ নকাম করতে পারবেন না । সোশ্যাল মিডিয়া এবং ইনস্টাগ্রামে মার্কেটিং করে খুব সহজেই প্যাসিভ ইনকাম জেনারেট করা যায়। 

আপনি চাইলে Instagram  এর মাধ্যমে অনেক প্রকার আয় করতে পারবেন । যেমন আপনি যদি একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার হয়ে থাকেন তাহলে গ্রাফিক্স ডিজাইনের জন্য এখানে বায়ার খুঁজতে পারবেন । এবং খুবই সহজে বায়ার কালেক্ট করে নিতে পারবেন । Instagram এ ভালো বায়ার পাওয়া যায়। শুধু গ্রাফিক্স ডিজাইন এর ক্ষেত্রেই না সব কাজের ক্ষেত্রে।
এখানে আপনি ভালো বায়ার পেয়ে যাবেন । ইনস্টাগ্রামে কখনো ফেক ইনফরমেশন পাওয়া যায় না । আপনার যদি কোন ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান থেকে থাকে কিংবা আপনি যদি মার্কেটিং করতে চান তাহলে এখানে Instagram এর ভূমিকা অনেক। 

কোন পণ্য বিক্রি করার জন্য Instagram এর অবদান অনেক । ইনকামের সেরা উচ্চ এই Instagram শুধুমাত্র আপনি তিন থেকে চার ঘন্টা কাজ করে সারা জীবনের মতো একটি আয়ের উৎস বের করে নিতে পারবেন এই Instagram থেকে । আশা করি ইনস্টাগ্রামের বিষয়টুকু বুঝতে পেরেছেন।

Seo এর কাজ করে প্যাসিভ ইনকাম করার সহজ উপায়

আপনি যদি একজন এসইও এক্সপার্ট হয়ে থাকেন কিংবা এসইওর কাজ জেনে থাকেন । তাহলে আপনি এসইওর কাজ করে প্যাসিভ ইনকাম করতে পারবেন খুবই সহজে । অনেকেই কিওয়ার্ড রিসার্চ জানেন না । তো বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসে অনেক ক্লাইন্ট থেকে থাকে যারা কিওয়ার্ড রিসার্চ করতে পারেনা । এই কিওয়ার্ড রিসার্চ করিয়ে নেওয়ার জন্য তারা এসইও এক্সপার্টদের খুঁজে থাকেন । 

আপনি যদি এসইও এক্সপার্ট হয়ে থাকেন তাহলে আপনি এই এসইওর কাজ করে কীওয়ার্ড রিসার্চ এর কাজ করে আস্তে আস্তে ভালো পজিশনে যেতে পারবেন । এসইও মানে কি ? এসইও মানে হচ্ছে যে google একটি সার্চ ইঞ্জিন এখানে আপনি যে কোন একটা বিষয় লিখে সার্চ করলেন । তো ওই বিষয় নিয়ে সার্চ করার পর যেগুলো সার্চ রেজাল্টে ওয়েবসাইটের লিংক দেখাবে ।
এগুলো প্রথমে কেন দেখায় অন্যগুলো দেখাতে পারতো কারণ হচ্ছে যে ব্যাক্তি প্রথমে আছে সেই ব্যক্তি খুব সুন্দর করে তার ওয়েবসাইটের আর্টিকেল থেকে এসইও করে রেখেছে এবং ভালোভাবে কিওয়ার্ড রিসার্চ করেছে ।ওয়েবসাইট র‌্যাংক করানোর জন্য এসইওর প্রয়োজন পড়ে ।

তারপর ইউটিউবে ভিডিও তৈরি করার জন্য এসিও প্রয়োজন পড়ে । এবং আপনি বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসে এসইওর কাজ করে ইনকাম করতে পারবেন । এক সময় আপনি এসইওর কাজ করে প্যাসিভ ইনকাম করতে পারবেন । আশা করি এ বিষয়টুকু বুঝতে পেরেছেন ।

কখন প্যাসিভ ইনকাম করা সম্ভব

সবশেষে একটি বিষয় আপনাদের জানিয়ে রাখি । আপনি তখনই প্যাসিভ ইনকাম করতে পারবেন।যখন আপনি একটা অ্যাক্টিভ ইনকাম কে প্যাসিভ ইনকামে অটোমেশন করে দিতে পারবেন।প্যাসিভ ইনকাম করার জন্য প্রথমে আপনাকে একটিভলি ইনকাম করা জানতে হবে। ধরুন আপনি একটি ব্লগিং ওয়েবসাইট তৈরি করলেন । 

এবং প্রতিদিন আপনি আর্টিকেল লেখা শুরু করলেন এখানে আপনি যদি আর্টিকেল না লেখেন তাহলে কি আপনি কখনো প্যাসিভ ইনকাম করতে পারবেন । আপনাকে তার জন্য টানা কাজ করে যেতে হবে এবং এগুলো আর্টিকেল গুগলে রেংক করবে । তারপর একটা সময় আপনি বসে বসে ইনকাম করতে পারবেন। বসে বসে যে ইনকামটা আপনি করবেন এই ইনকাম টাকেই বলা হয় প্যাসিভ ইনকাম । 
আশা করি কখন ইনকাম করা সম্ভব এই বিষয়টুকু বুঝতে পেরেছেন । যদি আপনি বুঝতে না পেরে থাকেন তাহলে অবশ্যই আমাদের কমেন্ট করে জানাবেন আমরা আরো ভালোভাবে বিস্তারিত বুঝিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব ।

লেখকের শেষ মন্তব্য

প্রিয় পাঠক আজকের এই আর্টিকেলে আমরা সম্পূর্ণ বিস্তারিত আলোচনা করেছি যে - কিভাবে প্রাচীর ইনকাম শুরু করবেন তারপর কোন কোন বিষয়ে কাজ শিখলে আপনি সেই কাজগুলোকে প্যাসিভ ইনকামে অটোমেশন করতে পারবেন । আপনার দ্বারা প্রাচীর ইনকাম করা কি সম্ভব ? তারপর কখন প্যাসিভ ইনকাম করা সম্ভব সকল বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। 

আশা করি বুঝতে পেরেছেন এবং আপনি যদি বুঝতে না পেরে থাকেন তাহলে অবশ্যই আমাদের কমেন্ট করে জানাবেন । আর এই আর্টিকেল থেকে আপনি যদি বিন্দু পরিমাণ উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে শেয়ার করবেন। 

আমাদের এই ওয়েবসাইটে প্রতিনিয়ত ইনফরমেশন তারপর টিপস এন্ড ট্রিকস শেয়ার করা হয় । নতুন নতুন আপডেট পেতে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নিতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url