ঘরে বসে মোবাইলে আয় - ইমেইল সিগনেচার করে ফাইবার মার্কেটপ্লেস থেকে আয়

প্রিয় পাঠক আজকে আমাদের এই আর্টিকেলের আলোচ্য বিষয় হচ্ছে যে ঘরে বসে মোবাইলে আয় এবং ইমেইল সিগনেচার শিখে এবং সম্পূর্ণ ফ্রিতে ইমেইল সিগনেচার শিখে ফাইবার মার্কেটপ্লেস থেকে কিভাবে ইনকাম করবেন। সম্পূর্ণ একটি প্রপার গাইডলাইন এর মাধ্যমে আজকে আর্টিকেলে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
ইমেইল সিগনেচার করে ফাইবার মার্কেটপ্লেস থেকে আয়
আপনি যদি আজকে এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগ দিয়ে পড়ে এবং বুঝে থাকেন তাহলে আমি চ্যালেঞ্জ করতেছি আপনি ফ্রি তে কাজ শিখে ফাইবার মার্কেটপ্লেসে প্রফেশনাল ভাবে গিগ তৈরি করে ইনকাম শুরু করে দেবেন। আমাদের এই ওয়েবসাইটে প্রতিনিয়ত গোপন টিপস শেয়ার করা হয় ইনশাল্লাহ আপনি যদি আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করেন তাহলে ফ্রিল্যান্সিং রিলেটেড অনলাইন ইনকাম রিলেটেড সঠিক গাইডলাইন পাবেন ইনশাআল্লাহ।

সূচিপত্রঃ ঘরে বসে মোবাইল দিয়ে আয় - ইমেইল সিগনেচার করে ফাইবার মার্কেটপ্লেস থেকে আয়

rhrtech

ইমেইল সিগনেচার কি ও কিভাবে করে

ইমেইল সিগনেচার মানে হচ্ছে যে, ইমেইল অথবা জিমেইল ধরলাম একই তো ইমেইল সিগনেচার এর মানে এইটাই যে আপনি যখন কাউকে ইমেইল পাঠাবেন কিংবা gmail পাঠাবেন। তখন দেখবেন যে প্রফেশনাল কোন ব্যক্তির জিমেইল সাবজেক্ট এর নিচে তার সাথে কন্টাক্ট করার জন্য কিছু ইনফরমেশন দেওয়া থাকে। উদাহরণস্বরূপ যেমন ধরুন ।

Scincerly বা regard কিংবা যার জিমেইল তার ব্যক্তিগত ইনফরমেশন দেওয়া থাকে। তো এই শেষে যেই ক্লোজিংটা দেওয়া হয় যে সিগনেচারটি দেওয়া হয়। এটা আমাদের না লিখে আমরা টেমপ্লেট তৈরি করে সেটা ইমেইল কিংবা gmail এর সেটিংস এ গিয়ে সেটআপ করে দিতে পারি। তাহলে অটোমেটিক ভাবে আমাদের জিমেইলে সেট হয়ে যাবে।


পরবর্তীতে কাউকে যদি আমরা জিমেইল পাঠায় তাহলে আমাদের ওই ইনফরমেশন টেমপ্লেট টি অটোমেটিক ভাবে জিমেইলের নিচে দেখাব। সেক্ষেত্রে আমাদের সুবিধা হবে কাউকে কোন ইনফরমেশন আর এক্সট্রা করে দিতে হবে না । তো এরকম কাজ করে আমরা ফাইবার থেকে ঘরে বসে মোবাইলে আয় করতে পারি। 

এরকম ইমেইল সিগনেচার টেমপ্লেট ডিজাইন সার্ভিস রয়েছে ফাইবারে। আমাদের দেওয়া গাইডলাইন অনুসারে আপনি যদি ফাইবারে একটি প্রফেশনাল টাইপের গিগ তৈরিকরে আপনি যদি ক্লাইন্ট হ্যান্ডেল করতে পারেন। তাহলে আপনি ফাইবার থেকে খুবই অল্প সময়ের মধ্যে খুব ভালো একটি ইনকাম জেনারেট করতে পারবেন। 

কিভাবে এগুলো কাজ করবেন এবং কিভাবে বায়ার ক্লাইন্ট হ্যান্ডেল করবেন ম্যানেজ করবেন । তারপর প্রফেশনাল টাইপ গিগ কিভাবে তৈরি করবেন সব কিছু নিয়ে আজকের এই আর্টিকেলে আমরা আপনাকে দেখাবো এবং সঠিক গাইডলাইন দেবো । ইমেইল সিগনেচার করে ফাইবার মার্কেটপ্লেসে অনেকেই কাজ করতেছে। 


এবং এই কাজেরও সার্ভিস রয়েছে খুবই কম আপনিও যদি এই সার্ভিস দিয়ে থাকেন তাহলে আপনি খুবই কম সময়ের মধ্যে ভাল রেঙ্ক করে নিতে পারবেন ফাইবার মার্কেটপ্লেসে। আপনি যদি নতুন হয়ে থাকেন তাহলে আমাদের গাইডলাইন থাকবে আপনি এগুলো কাজ দিয়ে শুরুটা করবেন । কারন এগুলো দিয়ে যদি আপনি শুরু করেন তাহলে আপনি নিজের ইনকামটা নিজে নিজেই করতে পারবেন।

আপনার ফ্যামিলি থেকে টাকা নিতে হবে না কোন সমস্যা হবে না । পরবর্তীতে আপনি আরও স্কিল ডেভলপ করে নিতে পারবেন। এগুলো বিষয়ে যদি আপনার আরো কোন কিছু জানার থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদের কমেন্ট করে জানাবেন। আর আমরা পরবর্তী স্টেপে দেখবো যে ইমেইল সিগনেচার কত প্রকার ও কি কি ?

ইমেইল সিগনেচার কত প্রকার ও কি কি

ইমেল সিগনেচার প্রধানত তিন প্রকার যেমন Html Signature, Clickable signature, Outlook Signature এই তিন ধরনের সিগনেচার নিয়ে আজকে আমরা সম্পূর্ণ টা দেখে দেব । তার আগে আরো কিছু কনসেপ্ট আপনাদের ক্লিয়ার করে দেই। আপনার মাথায় হয়তোবা একটা কথা কথা ঘর পাক করতে পারে সেটা হচ্ছে যে ফ্রিতে কি এগুলো কাজ সম্ভব।

হ্যাঁ আমরা বলব ১০০% সম্ভব ফ্রিতে আপনি ইমেইল সিগনেচার এর কাজ করে সফলতা অর্জন করতে পারবেন । কি বিশ্বাস হচ্ছে না ? তাহলে চলুন আমরা প্র্যাকটিক্যালি দেখে নেই। আপনি যদি এই বিষয়টি নিয়ে দেখতে চান ফাইবার মার্কেটপ্লেসে তাহলে অবশ্যই আমাদের দেওয়া নিয়ম অনুসারে চেক করে দেখতে পারেন। তো প্রথমে আপনি চলে যাবেন ফাইবার মার্কেটপ্লেসে।

তারপর ফাইবার মার্কেটপ্লেস এর সার্চ বারে সার্চ করবেন Email Signature লিখে। সার্চ করার পর দেখবেন যে খুবই কম সার্ভিস অ্যাভেলেবল রয়েছে এবং একটা করে গিগ এ সর্বনিম্ন ৪০০ ৫০০টি পর্যন্ত অর্ডার কমপ্লিট করা হয়েছে মাত্র দুই থেকে তিন মাসের মধ্যে। চিন্তা করে দেখুন একটা করে অর্ডারের প্রাইজ যদি হয় পাঁচ ডলার তাহলে আপনার ২০০ টি অর্ডারের প্রাইস কত হবে।


২০০ * ৫ = ১০০০ $ কি দেখে অবাক হইলেন। হ্যাঁ অবাক হওয়ারই কথা এটা শুধু মৌখিক আশ্বাস না। এখানে আপনি নিজেও এই পরিমাণ ইনকাম করতে পারবেন। তো চলুন আমরা স্ক্রিনশট এর মাধ্যমে দেখে নেই যে ফাইবারে এই কাজ নিয়ে কতগুলো সার্ভিস অ্যাভেইলেবল রয়েছে। এবং প্রতিটা গিগে কয়টি করে অর্ডার রানিং রয়েছে।
ইমেইল সিগনেচার কত প্রকার ও কি কি
আপনি স্ক্রিনশটের ভালোভাবে লক্ষ্য করে দেখুন একটা করে গিগে টোটাল কতটা অর্ডার কমপ্লিট করা হয়েছে । এবং একটা করে গিগের মূল্য কত করে। এখন আমরা দেখি যে কোন একটা গিগের মধ্যে ঢুকে। যে ওই গিগের কতগুলো অর্ডার রানিং রয়েছে এখন পর্যন্ত এবং বেসিক প্যাকেজ স্ট্যান্ডার্ড প্যাকেজ তারপর প্রিমিয়াম প্যাকেজ এর প্রাইজ কত।

ইমেইল সিগনেচার কত প্রকার ও কি কি
এই স্ক্রিনশট টাও আপনি ভালোভাবে লক্ষ্য করে দেখুন যে এই গিগে যে বলা হয়েছে যে উনি এইচটিএমএল সিগনেচার আইফোনের জন্য তৈরি করে দিবেন। এবং বেসিক প্রাইস ছিল ১০ ডলার এবং স্ট্যান্ডার্ড প্রাইজ আছে ১৫ ডলার স্ট্যান্ডার্ড প্যাকেজে তিনি যেগুলো কাজ করে দেবেন তার মধ্যে হচ্ছে ইমেইল সিগনেচার টেমপ্লেট ডিজাইন করে দিবেন। 

এবং রিকোয়ারমেন্টস দিয়ে দিয়েছে তিনি বায়ারের কাছ থেকে বায়ারের তিনটি ছবি নেবেন। এবং কন্টাক্ট আইকন্স নিবেন এবং আরো বলেছেন তিনি বায়ারের কাছ থেকে কালার টাও জেনে নিবেন যে বায়ার ইমেইল সিগনেচার টেমপ্লেটে কিরকম কোন কালার করে নেবেন। এখানে যে সেলারের একাউন্টে আমরা প্রবেশ করেছি সেই সেলার ডেলিভারি দিবে একদিনের মধ্যেই। 


স্ট্যান্ডার্ড প্যাকেজে ডেলিভারি একদিন। তারপর প্রিমিয়াম প্যাকেজ এর প্রাইজ রয়েছে ২৫ ডলার এই প্রিমিয়াম প্যাকেজের ডেলিভারিও একদিনের মধ্যেই দিয়ে দিবেন। তো আমরা এতক্ষণ দেখলাম যে ইমেইল সিগনেচার কি কি এবং ইমেইল সিগনেচার এর সার্ভিস ফাইবারে কেমন রয়েছে এবং এই কাজ করে জীবনে আদৌ কি ভালো কিছু অর্জন করা যাবে কিনা ? 

আশা করি এগুলো বিষয় নিয়ে আর কোন চিন্তা থাকবে না আপনাদের মাথায়। তো এখন আমরা পরবর্তী দেখব যে এইচটিএমএল সিগনেচার কিভাবে তৈরি করে এবং এগুলো কিভাবে জিমেইলের সেটআপ করবে । তো চলুন শুরু করা যাক পরবর্তী স্টেপ।

এইচ টি এম এল HTML ইমেইল সিগনেচার কিভাবে করে

একটি পারফেক্ট ইমেইল সিগনেচার তৈরি করার জন্য আমাদের প্রথমে যে কাজটি করতে হবে সেটা হচ্ছে আমাদের গুগলে সার্চ দিতে হবে Email Signature লিখে এখন আমরা সার্চ দেওয়ার পর একটি ওয়েবসাইট খুঁজে নিতে হবে এখানে অনেক ধরনের অনেক ওয়েবসাইট শো করবে। তো আপনি চাইলে আপনার পছন্দমত যে কোন একটি ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে । 

ফ্রিতে ডিজাইন করে নিতে পারেন সমস্যা নাই। তবে আমরা যেটি দেখাবো সেটি হচ্ছে আমাদের অভিজ্ঞতা থেকে বলতেছি এটা সেরা হবে। তো সার্চ দেওয়ার পর দেখবেন একটা ওয়েবসাইট রয়েছে ওয়েবসাইটটির নাম Hubspot এই ওয়েবসাইটটি যদি আপনার চোখের সামনে চলে আসে তাহলে এই ওয়েবসাইটে ঢুকে পড়বেন।


তারপর কিভাবে কি কি কাজ করতে হবে সব পণ্য আমরা দেখিয়ে দিচ্ছি স্টেপ বাই স্টেপ। তো চলুন আমরা ধাপে ধাপে দেখে নিই ইমেইল সিগনেচার এর কাজ।

স্টেপ -০১ঃ প্রথমে আপনি google এ চলে যাবেন যাওয়ার পর সার্চ করবেন Email Signature লিখে।Hubspot এই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করবেন।
এইচ টি এম এল HTML ইমেইল সিগনেচার কিভাবে করে
স্টেপ -০২ঃ কাঙ্খিত ওয়েবসাইটে প্রবেশ করার পর সাথে সাথে একটি ড্যাশবোর্ডে নিয়ে চলে যাবে ওই ড্যাশবোর্ডটিই হচ্ছে ডিজাইনের ড্যাশবোর্ড।
এইচ টি এম এল HTML ইমেইল সিগনেচার কিভাবে করে
তো ওখানে প্রথম স্টেপে আপনি টেমপ্লেট সিলেক্ট করতে পারবেন তো আপনার পছন্দ অনুযায়ী আপনি কোন টেমপ্লেট সিলেক্ট করতে যাচ্ছেন সেটি আপনি বাছাই করে নিতে পারেন। তো আমাদের পছন্দ অনুযায়ী আমরা একটি টেমপ্লেট সিলেক্ট করছি।

স্টেপ -০৩ঃ আপনি যে ডিজাইনটি করবেন সেটি মাঝখানের ড্যাশবোর্ডে দেখাবে প্রিভিউ দেখা যাবে। তো এখন আমরা দেখব কিভাবে নাম ফোন নাম্বার সোশ্যাল আইকন এগুলো চেঞ্জ করে তো চলুন শুরু করা যাক।

স্টেপ -০৪ঃ সিগনেচার ডিটেলসে এসে আপনি আপনার নাম থেকে শুরু করে জব টাইটেল এবং ফোন নাম্বার কোম্পানি নাম এবং আপনার লোকেশন সবকিছু সিগনেচার ডিটেলসে এসে স্ক্রলিং করে দেখে আপনি চেঞ্জ করে নিতে পারবেন।
এইচ টি এম এল HTML ইমেইল সিগনেচার কিভাবে করে
স্টেপ -০৫ঃ এই ধাপে এসে আপনি আপনার টেমপ্লেটটির ডিজাইন করতে পারবেন যেমন প্রথমে রয়েছে থিম কালার তারপর টেক্সট কালার তারপর রয়েছে আপনার লিংক এর কালার এবং সবশেষে দুইটা রয়েছে তার মধ্যে একটা ফন্ট আর একটা ফন্ট সাইজ। এগুলো আপনি চেঞ্জ করতে পারবেন। নিজের মতো করে চেঞ্জ করে নিতে পারবেন।
এইচ টি এম এল HTML ইমেইল সিগনেচার কিভাবে করে
স্টেপ -০৬ঃ এই ধাপে আমরা দেখব যে কিভাবে আমরা টেমপ্লেটের ভিতরে আমাদের একটি সুন্দর ছবি পিকচার অ্যাড করতে পারি। পিকচার অ্যাড করার জন্য প্রথমে আমাদের পিকচারের লিংক তৈরি করতে হবে এইটা আপলোড পিকচার দিয়ে হবে না।


প্রথমে আমাদের আমাদের মোবাইল কিংবা ডেস্কটপে থাকা পিকচারটি google ড্রাইভে আপলোড করে নিতে হবে আপনি যদি গুগল ড্রাইভে আপলোড করতে না পেরে থাকেন তাহলে আমাদের দেখানোর নিয়ম অনুসারে আপলোড করে নিতে পারেন।

পিকচার বা ছবি গুগল ড্রাইভে আপলোড করার নিয়ম

আপনার যদি গুগল ড্রাইভ একাউন্ট থেকে থাকে তাহলে আপনার ব্রাউজারে সার্চ করবেন DRIVE.GOOGLE বা এই লিংকে ক্লিক করে আপনি গুগল ড্রাইভে প্রবেশ করতে পারেন তো প্রবেশ করার পর আমাদের দেখানো স্টেপে ছবি আপলোড করবেন।

ধাপ -০১ঃ প্রথমে আপনি ড্রাইভের বাম সাইডে নিউ বাটনে ক্লিক করবেন।
পিকচার বা ছবি গুগল ড্রাইভে আপলোড করার নিয়ম

ধাপ -০২ঃ  নিউ তে ক্লিক করার পর ফাইল আপলোড বাটনে ক্লিক করুন।
পিকচার বা ছবি গুগল ড্রাইভে আপলোড করার নিয়ম
তারপর আপনার কাঙ্খিত ডিভাইসে যেখানে ছবি রয়েছে ওই ছবিটি সিলেক্ট করে আপলোডে ক্লিক করে দিন তাহলে আপনার ছবি আপলোড হয়ে যাবে। এখন আমাদের কাজ হচ্ছে এইখান থেকে ওই ছবির লিংক নিয়ে। টেমপ্লেটের ডিজাইন সেকশনে লিংকটি পেস্ট করে দিতে হবে তাহলে আমাদের ছবিটি টেমপ্লেটে শো করবে।


ছবির লিংক কপি করার জন্য যে ছবির লিংক কপি করব সেই ছবির থ্রি ডটে ক্লিক করব ক্লিক করার পর শেয়ার অপশন এ ক্লিক করব শেয়ার অপশন এ ক্লিক করার পর। General Access এ ক্লিক করবো তারপর Anyone with the link এই অপশনটি সিলেক্ট করে দেবো। 
পিকচার বা ছবি গুগল ড্রাইভে আপলোড করার নিয়ম
সিলেক্ট করার পর নিচে দেখুন Copy Link অপশন রয়েছে ওই অপশনে ক্লিক করে লিংকটি কপি করে নেব । তাহলে আমাদের ছবির লিংক কপি করা শেষ। এখন আমরা টেমপ্লেটে ছবি সেট করব।

স্টেপ -০৭ঃ এই স্টেপে এসে আপনি Upload Your Custom Signature Images এই অপশনে চলে আসুন আসার পর দেখুন প্রথমে রয়েছে প্রোফাইল পিকচার। তো google ড্রাইভ থেকে পিকচারের লিংক কপি করে নিয়ে এসে এখানে পেস্ট করে দেবেন তাহলে আপনার কাঙ্খিত ওই ছবিটি আপনার টেমপ্লেট এ সো করবে।
পিকচার বা ছবি গুগল ড্রাইভে আপলোড করার নিয়ম
আপনি চাইলে কোম্পানির লোগো এগুলো অ্যাড করে দিতে পারবেন। আপনার ক্লাইন্ট আপনাকে যেগুলো এড করতে বলবে আপনি সেগুলো এড করে দিবেন। তবে আমরা ডিফল্টভাবে যেগুলো দরকারই সেগুলো এড করে দেখালাম।


স্টেপ -০৮ঃ আপনার যদি টেমপ্লেটের ডিজাইন সবকিছু সম্পন্ন হয়ে যায় তাহলে এখন আমাদের কাজ হচ্ছে টেমপ্লেট ক্রিয়েট করা। টেমপ্লেট টি ক্রিয়েট করার জন্য দেখুন Create সিগনেচার Create Signature বাটন রয়েছে ওই বাটনে ক্লিক করে দিতে হবে ।
পিকচার বা ছবি গুগল ড্রাইভে আপলোড করার নিয়ম
Create signature এ ক্লিক করার পর আমাদের টেমপ্লেটটি রেডি হতে থাকবে। টেমপ্লেটটি ক্রিয়েটিং প্রসেসিং হবে।
পিকচার বা ছবি গুগল ড্রাইভে আপলোড করার নিয়ম
এখানে দেখুন দুটো সিগনেচার অপশন রয়েছে একটা হচ্ছে Copy Signature এবং আরেকটা হচ্ছে Copy Signature source Code এই দুই নাম্বার টা হচ্ছে html সিগনেচার। তো এটি এইচটিএমএল সিগনেচার কিভাবে পরীক্ষা করবেন তার জন্য আপনি দুই নাম্বার বাটনে ক্লিক করে সোর্স কোড গুলো কপি করে নিবেন । কপি করে নেওয়ার পর আপনি আপনার ডিভাইসে গিয়ে । 

একটি নোটপ্যাড ওপেন করবেন নোটপ্যাডে আপনি এইচটিএমএল কোড গুলো পেস্ট করবেন। পেস্ট করার পর সেভ করবেন এবং এক্সটেনশন দেবেন .html ডট html যদি না দেন তাহলে আপনি বিষয়টি দেখতে পারবেন না এবং বুঝতে পারবেন না। এক্সটেনশন সেট করা হয়ে গেলে দেখবেন যে আপনার ওই নোটপ্যাড টি যে কোন একটি ব্রাউজার আইকনে পরিণত হয়ে গিয়েছে।


তারপর আপনি ডাবল ক্লিক করে ওপেন করার পর দেখবেন সেটি একটি ব্রাউজার এ গিয়ে ওপেন হয়েছে এবং আপনার সিগনেচার টেমপ্লেটটি দেখতে পারবেন। তো কিভাবে এই কাজটি করব তার জন্য প্রথমে আমরা ধাপে ধাপে দেখে নেই।

ধাপ -১ঃ সোর্স কোড গুলো কপি করুন Copy Signature Source Code আপনার কম্পিউটারে একটি নোটপ্যাড তৈরি করুন নোটপ্যাডের ভিতরে সোর্স কোড গুলো পেস্ট করুন।
পিকচার বা ছবি গুগল ড্রাইভে আপলোড করার নিয়ম

ধাপ -২ঃ এখন নোটপ্যাড থেকে সেভ করুন এবং এক্সটেনশনে ডট html করে দিন। ডিফল্ট ভাবে ডট টি এক্স টি থাকবে .txt এটা থাকবে। তো আমাদের ডট এরপর এইচটিএমএল করে দিতে হবে।
পিকচার বা ছবি গুগল ড্রাইভে আপলোড করার নিয়ম
ধাপ -৩ঃ এখন আমরা আমাদের ডিভাইসের যে লোকেশনে আমরা ডট এইচটিএমএল দিয়ে ফাইলটি সেভ করেছি ওই লোকেশনে গেলে আমরা দেখতে পাবো যে ওখানে আর নোটপ্যাডের আইকন নেই এখন যে কোন একটা ব্রাউজারের পরিণত হয়ে গিয়েছে। ওই ব্রাউজারে আমরা ডাবল ক্লিক করে ওপেন করলে কাঙ্খিত আমাদের ডিজাইন টেমপ্লেটটি আমাদের সামনে চলে আসবে।
পিকচার বা ছবি গুগল ড্রাইভে আপলোড করার নিয়ম
এই ফাইলটি আমরা এখন ওপেন করব ওপেন করার পর যে ডিজাইনটি আসবে এটি কেমন দেখতে হবে তো চলুন আমরা পরবর্তী স্ক্রিনশটে দেখে নেই।
পিকচার বা ছবি গুগল ড্রাইভে আপলোড করার নিয়ম
তো আমরা html ইমেইল সিগনেচার সম্বন্ধে জানলাম এবং কিভাবে এইচটিএমএল সিগনেচার টেমপ্লেট তৈরি করবেন সবকিছু দেখালাম এবং শিখালাম। তো ফাইবার মার্কেটপ্লেসে এইচটিএমএল সিগনেচারের চাহিদা বেশি । আপনি চাইলে html signature বিষয়ের গিগ তৈরি করে ফাইবার থেকে ইনকাম করতে পারবেন। 


কিভাবে তৈরি করবেন একটি প্রফেশনাল টাইপের গিগ তৈরি করবেন সবকিছু নিয়ে আমরা পরবর্তী আর্টিকেল আলোচনা করব। তো আপনার যদি কোন স্পেসিফিক কোন প্রশ্ন থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদের কমেন্ট করে জানাবেন আমরা আপনাদের সাহায্য করব ।

জিমেইলে সিগনেচার টেমপ্লেট এড করার মাধ্যম

আপনি যদি কাউকে জিমেইল পাঠান সে ক্ষেত্রে আপনি এক্সট্রা করে নিচে আপনার যোগাযোগ মাধ্যম দিয়ে থাকেন । তো এখানে যদি আপনি সিগনেচার টেমপ্লেট ডিজাইন করে রাখেন এবং এই টেমপ্লেটটি আপনি যদি আপনার জিমেইলের যোগাযোগ মাধ্যমে এড করে দিতে চান ।

এবং অ্যাড করে দিলে আপনি যাকেই জিমেইল পাঠান তার কাছেই আপনার সাবজেক্ট এর নিচে আপনার ওই টেমপ্লেটটি শো করবে। তো এই ইমেল সিগনেচার টেমপ্লেট কিভাবে আপনার জিমেইলে এড করবেন তো চলুন আমরা ধাপে ধাপে দেখি এবং শিখি।

ধাপ -০১ঃ প্রথমে আপনি আপনার জিমেইলে চলে যাবেন যাওয়ার পর সেটিংস অপশনে ক্লিক করবেন তারপর See all Settings এই অপশনে ক্লিক করবেন।
জিমেইলে সিগনেচার টেমপ্লেট এড করার মাধ্যম
ধাপ -০৩ঃ Settings এ ক্লিক করার পর স্ক্রল করে নিচে চলে আসবেন আসার পর দেখবেন যে Signature লেখা আছে তার ডানপাশে রয়েছে Create New বাটন।
জিমেইলে সিগনেচার টেমপ্লেট এড করার মাধ্যম
ধাপ -০৪ঃ এখন আমাদের কাজ হচ্ছে Create New বাটনে ক্লিক করে দেবো দেওয়ার পর আমরা একটা নাম দিব যেমন ধরুন সিগনেচার1 এটা একটা নাম দিয়ে Create ক্রিয়েট বাটনে ক্লিক করব।
জিমেইলে সিগনেচার টেমপ্লেট এড করার মাধ্যম
ধাপ -০৫ঃ এখন দেখুন আমাদের সিগনেচার টেমপ্লেট যুক্ত করার সেকশন চলে এসেছে। এখন আমাদের কাজ ওইতো প্রথমে দেখেছিলাম Copy Source Code এর বাম পাশে Copy Signature বাটন এখন আমরা Copy Signature এ ক্লিক করে সিগনেচারটি কপি করে নিয়ে আসব।
জিমেইলে সিগনেচার টেমপ্লেট এড করার মাধ্যম
ধাপ -০৬ঃ কপি করা হয়ে গেলে এখন আমরা জিমেইলে ওই সিগনেচার টেমপ্লেট তৈরি করার সেকশনে গিয়ে পেস্ট করে দেব তো চলুন পেস্ট করার পর কেমন দেখায় আমরা পরবর্তী স্ক্রিনশট দেখে নেই।
জিমেইলে সিগনেচার টেমপ্লেট এড করার মাধ্যম
ধাপ -০৭ঃ এখন আমাদের সবশেষে কাজ হচ্ছে আরও একটি স্ক্রলিং করে নিচে এসে সেভ করে নিতে হবে তো কিভাবে সেভ করব তো চলুন আমরা আরো একটি স্ক্রিনশট দেখে নেই।
জিমেইলে সিগনেচার টেমপ্লেট এড করার মাধ্যম
আমি আমার মত করে আরো একটি ডিজাইন করেছি ওই ডিজাইনটি আমি এখানে সেভ করে নিয়েছি।সেভ করার পর এখন আমরা জিমেইল পাঠাবো যে কোন একজনকে তো চলুন জিমেইল পাঠানোর সময় আমাদের জিমেইলে কিভাবে ডিফল্টভাবে শো করে ওই টেমপ্লেটটি দেখে নেই ।
জিমেইলে সিগনেচার টেমপ্লেট এড করার মাধ্যম
এখন থেকে আমরা যাকেই জিমেইল পাঠাই না কেন সবার কাছে এই টেমপ্লেট টি চলে যাবে। তো এইভাবে আপনি আপনার বায়ার কিংবা ক্লায়েন্টকে এভাবে ডিজাইন করে দিয়ে ফাইবার থেকে ইনকাম করতে পারবেন খুবই সহজে ঘরে বসে মোবাইলে আয় করতে পারবেন।


আশা করি ইমেইল সিগনেচার নিয়ে আর কোন কনফিউশন নেই। যদি আপনার ভেতরে ইমেল সিগনেচার নিয়ে আরো কোন কনফিউশন থেকে থাকে তাহলে আমাদেরকে জানাবেন আমরা আপনাকে আরো সুন্দর করে বুঝিয়ে দেব পরবর্তী আর্টিকেলের মাধ্যমে।

লেখকের শেষ মন্তব্য

তো প্রিয় পাঠক আজকে এই আর্টিকেলে আমরা প্রোপার গাইডলাইন শেয়ার করেছি কিভাবে আপনি ঘরে বসে মোবাইলে আয় করবেন এবং। ইমেইল সিগনেচার কিভাবে শিখবেন ফ্রিতে তারপর একটি ফাইবার মার্কেটপ্লেসে কিভাবে কাজ করবেন কিভাবে কাজ খুঁজবেন এবং । ফাইবার মার্কেটপ্লেসে এই কাজের চাহিদা কেমন এই কাজ করে।

আপনি কি ফাইবার মার্কেটপ্লেস ভালো কিছু করতে পারবেন কিনা এই সকল বিষয় নিয়ে আজকের এই আর্টিকেলে আলোচনা করেছি। তো আজকের এই আর্টিকেল থেকে আপনি যদি বিন্দু পরিমাণ কিছু উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে শেয়ার করবেন যাতে করে আপনার বন্ধু-বান্ধবরা ও যেন এগুলো বিষয়ে জানতে পারে এবং শিখতে পারে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নিতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url