বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি ২০২৪

প্রিয় পাঠক, আপনি হয়তো অনেক জায়গায় খোঁজাখুঁজির পর এই আর্টিকেলটি চোখে পড়েছে, তো আজকের আর্টিকেলে বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি ? ফ্রিল্যান্সিং এ আয়ের দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান কত । আপনি যদি গুগলে সার্চ করেন যে বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি ।
বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি
অনেকেই ভুল তথ্য দিয়ে থাকেন এবং অনেকেই সঠিক তথ্য দেন । কিন্তু আমি আপনাদের সব সময় সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করি ইনশাআল্লাহ সেরাটা দিয়ে যাব । 
বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি এবং সবচেয়ে জনপ্রিয় সেক্টর কোনটি ? তারপর ফ্রিল্যান্সিংয়ে আয়ের দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান কত ? কোন কাজ শিখলে আমি জীবনে ভালো কিছু করতে পারবো ? আমার দ্বারা কি ফ্রিল্যান্সিং করা আসলেই সম্ভব ? কোন মার্কেট প্লেস আমার জন্য ভালো হবে ? 

হ্যাঁ আজকে ফ্রিল্যান্সিং এর যত প্রকার চিন্তা কনফিউশন আপনার মনের মাঝে ঘুরপাক খাচ্ছে সেই কনফিউশন সেই চিন্তা দূর করার জন্য অনেক ভেবেচিন্তে আপনাদের সামনে এই আর্টিকেলটি উপস্থাপন করছি । একজন সাধারণ মানুষ হিসেবে যখন ফ্রিল্যান্সিং এর যাত্রা শুরু করবে আসলে ভেবে পাইনা যে কি করবে ? তাদের জন্য আজকের এই আর্টিকেল । 

ইনশাআল্লাহ আপনার দ্বারা ভালো কিছু হবে আপনি যদি এই আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়েন এবং দেখিয়ে দেওয়া নিয়মে কাজ করেন। সব বিস্তারিত নিচের আর্টিকেলে । তো দেরি না করে চলুন শুরু করা যাক।

ফ্রিল্যান্সিং এ আয়ের দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান কত

ফ্রিল্যান্সিং আয়ের দিক দিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান কত ? আপনি যদি গুগল (Google) এ সার্চ দেন তাহলে অনেকের ওয়েবসাইট কিংবা আর্টিকেলে দেখবেন যে, কেউ উল্লেখ করেছে ফ্রিল্যান্সিং (Freelancing) বিশ্বের দ্বিতীয় তম, অষ্টম তম, কিংবা তৃতীয় তম । এখানে আপনাদের কনফিউশন সৃষ্টি হইতে পারে, যে আসলে ফ্রিল্যান্সিং(Freelancing) বিশ্বের কততম অবস্থানে রয়েছে ।

মানুষ গুগলে (Google) সার্চ করে সঠিক ইনফরমেশন (Information) পাওয়ার জন্য । আর এইচ আর টেক (RHR TECH) আপনাদের সঠিক ইনফরমেশনটি দিতে যাচ্ছে, বিশ্বের (World) মধ্যে ফ্রিল্যান্সিং এর দিক থেকে বাংলাদেশ তৃতীয়তম অবস্থানে আছে । আমাদের বাংলাদেশে সরকারি হিসাব করে দেখা যায় যে প্রায় সাড়ে ৬ ছয় লাখ ফ্রিল্যান্সার (Freelancer) 


আমাদের দেশে Actively কাজ করতেছে (স্ট্রাগল) Struggle করতেছে । এ ফ্রিল্যান্সিংখাতে আয়ের পরিমাণ প্রায় এক বিলিয়ন ডলার । যা বাংলাদেশী টাকায় কনভার্ট করলে হয় (এক বিলিয়ন সমান ১০০ কোটি টাকা) আয় এবং ইনকামের দিক দিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান তৃতীয়তম । ফ্রিল্যান্সিং এর দিক থেকে হিসেব করলে দেখা যায় ।

বাংলাদেশে অসংখ্য ফ্রিল্যান্সার রয়েছে ২০২৫ সালে আমাদের দেশটি আরো উন্নত হবে শুধুমাত্র ফ্রিল্যান্সিং এর দিক দিয়ে । এসব মিলিয়ে হিসেব করে দেখা যায় যে আমাদের দেশটি ফ্রিল্যান্সিংয়ের আয়ের দিক থেকে তৃতীয়তম অবস্থানে রয়েছে । আশা করি আপনার কনসেপ্ট ক্লিয়ার হয়েছে ।

ফ্রিল্যান্সিং-এর টাকা পাওয়ার বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম কোনটি?

ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা পাওয়ার বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম কোনটি আর এইচ আর টেক এই (RHR TECH) এই আর্টিকেলের মাধ্যমে উপস্থাপন করবে । তার আগে আমরা জেনে নেই, যে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস কোনগুলো আসলে কোন মার্কেট প্লেস ভালো এবং কোন মার্কেটপ্লেস থেকে কোন পেমেন্ট মেথডে বাংলাদেশে পেমেন্ট নেওয়া হয় ?

বর্তমান সময়ে সবচেয়ে জনপ্রিয় পেশা হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং । নিজের স্কিলডকে কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং সাইট বা মার্কেট প্লেসে সাফল্যের সাথে কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশী ফ্রিল্যান্সার তরুণ তরুণীরা । এই ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে ছোট থেকে শুরু করে সবাই মার্কেটপ্লেসে কাজ করছে । এবং নতুন নতুন যেসব ফ্রিল্যান্সার তৈরি হচ্ছে । 


তাদের মধ্যে অধিকাংশ ফ্রিল্যান্সাররা ভেবে পাচ্ছেন না যে আসলে সে কোন মার্কেটপ্লেসে কাজ শুরু করবে কোন মার্কেট প্লেসটি তার জন্য ভালো হবে এই ভেবে । তাই আমরা অনেক রিসার্চ করে দেখলাম যে নতুনদের কনফিউশন দূর করতে আমাদের তাদের সাহায্য করা উচিত । নতুন ফ্রিল্যান্সারদের সবথেকে সেরা মার্কেটপ্লেস গুলোকে নিচে তালিকা যুক্ত করা হলো ঃ

ফ্রিল্যান্সিং-এর টাকা পাওয়ার বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম কোনটি?

এই পাঁচটি মার্কেটপ্লেসে নতুনরা কাজ শুরু করতে পারে । তাদের স্কিলকে কাজে লাগিয়ে তারা এখানে তাদের ক্যারিয়ারটি সাজাতে পারে । এই পাঁচটি মার্কেট প্লেসে পেমেন্ট নিয়ে কোন প্রকার ঝামেলা নেই ।ধরুন ” আমি বায়ার, আর আপনি সেলার, এখানে আপনাকে ফাইবার সম্পর্কে উদাহরণ দেওয়ার চেষ্টা করতেছি, আমি বাইয়ার হয়ে আপনাকে একটি অর্ডার করবো ফাইবারে ।

তখন আপনাকে আমি মেসেজ করবো মেসেজের মাধ্যমে আমি আপনাকে বলব আপনি কি আমাকে এই কাজটি করে দিতে পারবেন ? আপনি যদি সেই কাজে এক্সপার্ট হন তাহলে অবশ্যই আপনি আমার মেসেজের রেসপন্স করবেন, তারপর আমি বায়ার আপনাকে বলব যে আপনি এত ডলারের অফার ক্রিয়েট করুন ? ধরুন পাঁচ ডলারের অফার, সেটা হবে পাঁচ ডলারের কাজ ।


তারপর কাজ শুরু হবার আগে আমরা চুক্তি করে নিলাম, পাঁচ ডলারের আপনি অফার ক্রিয়েট করলেন এবং আমি সেটা সাবমিট করলাম । তারপর অর্ডার স্টার্ট হয়ে গেল যে আমার কাজ আপনি এত সময়ের মধ্যে করে দিবেন । ধরুন যে আপনার সময় তিন দিন, ফাইবার একাউন্টে আপনার টাইমিং চলতে থাকবে তখন টাইম শেষ হওয়ার পর আপনি যখন আমাকে কাজ জমা দিবেন।

কাজ জমা দেওয়ার সাথে সাথে আপনার ফাইবার একাউন্টে সেই ডলারটি যুক্ত হয়ে যাবে আশা করি বিষয়টি বোঝাতে পেরেছি ? এইটা শুধুমাত্র ফাইবারের ক্ষেত্রে । এরকম আরো মার্কেটপ্লেস আছে সেগুলো মার্কেটপ্লেসে একটু আলাদা টাইপের সিস্টেম রয়েছে । আপনাদের সামনে আর এইচ আর টেক ওইগুলো মার্কেটপ্লেস নিয়েও উপস্থাপন করবে, ইনশাআল্লাহ।

উপরোক্ত মার্কেটপ্লেসের পেমেন্ট মাধ্যম বাংলাদেশঃ

এই পাঁচটি মার্কেটপ্লেস থেকে আমরা বাংলাদেশ থেকে কোন পেমেন্ট মেথড এর মাধ্যমে ব্যাংকে টাকা ট্রান্সফার করবো সেই চারটা পেমেন্ট মেথড নিচে তালিকাযুক্ত করা হলো ঃ

ফ্রিল্যান্সিং-এর টাকা পাওয়ার বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম কোনটি?

বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি

বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে জনপ্রিয় এবং ডিমান্ডেবল সেক্টর টি কোনটি ? এবং কি কি এগুলো বিষয় নিয়ে আর এইচ আর টেক আপনাদের কে আর্টিকেলের মাধ্যমে শেয়ার করবে । সর্বপ্রথম আমরা জেনে নেই যে কোন সেক্টরটি এখন বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর ডিমান্ডেবল সেক্টর ?  উত্তর হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং এর ডিমান্ডেবল সেক্টর । 

জনপ্রিয় র‍্যাংকিং এ আছে বলতে যে সেক্টর, সেটি হচ্ছে ডিজিটাল মার্কেটিং এবং গ্রাফিক্স ডিজাইন । এখন আপনার মনে প্রশ্ন জাগতে পারে যে ডিজিটাল মার্কেটিং কি এটা খায় না মাথায় দেয় ? ডিজিটাল মার্কেটিং হচ্ছে অনলাইনে পণ্য বা সার্ভিস এর বিজ্ঞাপন বা মার্কেটিং করাকে বুঝায় সেটা হইতে পারে কোন সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে । 

কিংবা হতে পারে সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং এর মাধ্যমে হতে পারে এস ই ও (সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন) এর মাধ্যমে । সহজ ভাষায় বলতে গেলে ডিজিটাল মার্কেটিং হল যোগাযোগের মাধ্যমে সকল প্রকার আধুনিক প্রযুক্তি ইন্টারনেটের সুবিধা ব্যবহার করে কোন পণ্য বা কোন বিজ্ঞাপন প্রচার করা ।


ডিজিটাল মার্কেটিং এর ১১ টি মার্কেটিং ক্যাটাগরির মধ্যে সাতটি অনলাইন মার্কেটিং ক্যাটাগরি এবং বাকি চারটি অফলাইন মার্কেটিং ক্যাটাগরি - এই টোটাল ১১ টি ক্যাটাগরির মধ্যে জনপ্রিয় সাতটি ক্যাটাগরি হচ্ছে অনলাইন মার্কেটিং ক্যাটাগরি । বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি ? এগুলো হচ্ছে বর্তমানে ডিমান্ডেবল সেক্টর ।

  • এসইও (SEO)
  • সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং (SEM)
  • পে-পার ক্লিক (PPC)
  • সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং (SMM)
  • কনটেন্ট মার্কেটিং (Content Marketing)
  • ই-মেইল মার্কেটিং (Email Marketing)
  • অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং (Affiliate Marketing)

বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি ? এবং ডিজিটাল মার্কেটিং কেন ডিমান্ডেবল সেক্টর চলুন আমরা এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে এই বিষয়টি ক্লিয়ার করার চেষ্টা করব - বর্তমান যুগ ইন্টারনেটের যুগ । মানুষ ঘরে বসে ইন্টারনেটের মাধ্যমে ওয়ার্ল্ডের সব খবর রাখতে পারতেছে । এক কথায় ওয়ার্ল্ড এখন আমাদের হাতের মুঠোয় । 

আপনি জেনে অবাক হবেন যে সমগ্র বিশ্বে । টোটাল প্রায় দুই বিলিয়ন মানুষ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে থাকেন । আর এই স্ট্যাটিকস নিয়মিতভাবে দিন দিন বেড়েই চলেছে । ইনশাআল্লাহ বাড়তেই থাকবে । মানুষ যত বেশি ইন্টারনেট ব্যবহার করবে তত বেশি মানুষের কাছে আপনি আপনার যে কোন পণ্যের মার্কেটিং করতে পারবেন । 

এক কথায় ইন্টারনেট ইউজার যত বাড়বে । ডিজিটাল মার্কেটিং এর চাহিদাও বাড়তি থাকবে । আপনার কি মনে হয় ? আজ থেকে পাঁচ বছর পর কি ইন্টারনেট ইউজার কমে যাবে ? কখনোই না ! আজ থেকে পাঁচ বছর পর এখন যে হারে ইন্টারনেট ইউজার বাড়তেছে তখন তার থেকে চার ডবল ইন্টারনেট ইউজার থাকবে তখন ডিজিটাল মার্কেটিং এর চাহিদাটাও অনেক বেশি থাকবে । 

আপনাদের সহজ ভাষায় একটা বিষয় ক্লিয়ার করতে চাই । সেটি হচ্ছে - আপনি যদি ভবিষ্যতে আপনার বিজনেস বা ব্যবসা কে সফল হিসাবে দেখতে চান তাহলে এখনি উত্তম সময় নিজেকে এবং নিজের বিজনেস কে ডিজিটাল মার্কেটিং এর আওতায় নিয়ে আসা । নিয়ে এসে ক্রেতার সামনে আকর্ষণীয় ভাবে নিজের পণ্যকে তুলে ধরা । 

এবং সেটির মার্কেটিং করা আর এই মার্কেটিং করাকেই অনলাইন মার্কেটিং বলা হয় সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং বলা হয় । আর এই অনলাইন বাজার ব্যবস্থা সম্পূর্ণভাবে ডিজিটাল মার্কেটিং এর উপর নির্ভরশীল । আশা করি আপনাদের বোঝাতে পেরেছি যে বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি?

ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি ২০২৪

ফ্রিল্যান্সিংয়ে কোন কাজের চাহিদা সবচেয়ে বেশি ? যারা ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে নতুন, ধরুন সে কিছু জানে না ? নতুন অবস্থায় সবার মনে প্রশ্ন জাগতে পারে ? যে ফ্রিল্যান্সিং করে কি আদৌ জীবনে সফল হওয়া সম্ভব ? তারপর তার মনে প্রশ্ন জাগতে পারে আমি কি পারব ফ্রিল্যান্সিং করতে ? আমাকে দিয়ে কি হবে ? নতুনরা তখন বুঝতে পারে না যে কি করবে ! 

তখন youtube কিংবা Google গুগলে সার্চ করেন যে ফ্রিল্যান্সিং কি ? ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা সবচেয়ে বেশি ? আপনি যদি একজন নতুন ফ্রিল্যান্সার হয়ে থাকেন, কোন কাজটি শিখলে আপনি বেশি বেশি টাকা ইনকাম করতে পারবেন ? এরকম হাজারো নিত্য নতুন প্রশ্ন মনের মাঝে ঘুরপাক করতে থাকে তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য ।

আজকের এই আর্টিকেলটি আপনি যদি সম্পূর্ণ মনোযোগ দিয়ে পড়েন তাহলে এখন বর্তমান সময়ে ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা সবচেয়ে বেশি এই কাজ সম্পর্কে সম্পূর্ণ ধারণা আপনি পেয়ে যাবেন । আপনি যদি নতুন হয়ে থাকেন আর আপনার হাতে যদি সময় থেকে থাকে ধরুন সর্বোচ্চ ৬ মাস সময় যদি আপনার হাতে থাকে আর আপনার মনে যদি কাজ শিখার প্রবল ইচ্ছা থাকে !


তাহলে আপনার দ্বারা ফ্রিল্যান্সিং করা সম্ভব । তো নতুন যারা কাজ শিখবেন কিংবা কোন কাজ শিখলে ভালো হবে ২০২৩ সালে কোন কাজের চাহিদা সবচেয়ে বেশি এগুলো জেনে শুনে আপনি কাজ শুরু করবেন তাই তো ? তাহলে চলুন আর দেরি কেন আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনার কনসেপটি ক্লিয়ার করা যাক । 

আমি একজন ফ্রিল্যান্সার হয়ে আপনাদের সাজেশন দেওয়ার চেষ্টা করতেছি , আমিও একসময় আপনাদের জায়গায় ছিলাম । আমাকে কেউ গাইড করছিল না আমাকে সঠিক গাইড দেওয়ার কেউ ছিল না তখন আমি ভেবে পাচ্ছিলাম না যে কি করব কোন কাজ দিয়ে শুরু করব ? তখন আমি নিজে নিজে গুগল ইউটিউব ঘেঁটে ঘেঁটে অনেক রিসার্চ করে কাজ শিখেছি ? 

তাই আমি চাই না যে আপনিও আমার মত এভাবে দৌড়িয়ে দৌড়িয়ে সময় নষ্ট করে কাজ শিখুন ! আমাকে অনেকেই প্রশ্ন করে, আমি কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং শিখব আমি কি পড়াশোনার পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সিং করতে পারব ? ফ্রিল্যান্সিং করতে হলে আমার কি কি বিষয় জানতে হবে কোন কাজের চাহিদা বেশি এরকম অনেক প্রশ্ন করে থাকেন !


এক কথায় আমি আপনাদের মার্কেটপ্লেসে যেসব কাজের ডিমান্ড বেশি যেসব কাজের চাহিদা বেশি সেগুলো কাজ নিয়ে আলোচনা করব এই আর্টিকেলটি তুলে ধরব । ২০২৩ সালে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে অনেক ধরনের কাজ রয়েছে কিন্তু সকল কাজের চাহিদা একই রকম না । কোন কাজের চাহিদা High আবার কোন কাজের চাহিদা Low ।

তো বর্তমানে মার্কেটপ্লেসের যেসব কাজের চাহিদা সবচেয়ে বেশি সেই ছয়টি ক্যাটাগরির কাজ সম্পর্কে আমি আপনাদের গাইডলাইন করব ! এই ছয় ক্যাটাগরির মধ্যে যেকোনো একটি ক্যাটাগরির কাজে যদি আপনি এক্সপার্ট হয়ে যান তাহলে আপনাকে আর পিছনে তাকাইতে হবে না আপনি দিন দিন সফলতার দিকে পৌঁছাবেন । 

বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি ? কোন ছয়টি ক্যাটাগরির কাজ শিখলে আপনি জীবনে সাকসেস হতে পারবেন বা জীবনে ভালো কিছু অর্জন করতে পারবেন সেই ছয়টি ক্যাটাগরি নিচে লিস্ট আকারে তুলে ধরা হলো -ঃ

  • ডিজিটাল মার্কেটিং
  • ওয়েব ডেভেলপমেন্ট
  • অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট
  • গ্রাফিক্স ডিজাইন
  • Ui/Ux ডিজাইন
  • 2D অ্যানিমেশন

এই ছয়টি ক্যাটাগরির মধ্যে এখন আপনাদের সামনে একটা একটা করে ক্যাটাগরির কাজ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব ঃ

১) ডিজিটাল মার্কেটিং

ডিজিটাল মার্কেটিং হচ্ছে খুব জনপ্রিয় একটি মাধ্যম এখন যে হারে এটি খুব জনপ্রিয় হিসেবে পরিচিত হচ্ছে এর ভবিষ্যৎ আরো উন্নত এবং শক্তিশালী ও উজ্জ্বল হবে । ডিজিটাল মার্কেটিং হচ্ছে খুব একটি ফ্রিল্যান্সিং এর  ডিমান্ডেবল সেক্টর । ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে ডিজিটাল মার্কেটিং এর চাহিদা অনেক বেশি । 

কারণ ধরুন আপনার যদি একটা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থাকে সেটা অনলাইন হোক কিংবা অফলাইন হোক সেটি যদি আপনি অনলাইনে মার্কেটিং করতে চান । সে ক্ষেত্রে আপনার ডিজিটাল মার্কেটিং জানাও খুবই খুবই জরুরী ।  ডিজিটাল মার্কেটিং এর কারণে যে কোন আইডিয়া এবং যেকোনো ব্যবসা কে খুব সহজেই তার কাস্টমারের সামনে উপস্থাপন করা যায় । 

এবং একটি পণ্যকে কিংবা ব্র্যান্ডকে ভ্যালু বৃদ্ধি করাতে ডিজিটাল মার্কেটিং সব থেকে বেশি কার্যকর হবে । ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের কারণে একজন উদ্যোক্তা আরও বেশি উৎপাদনশীল হয়ে উঠবে । এবং সে যদি মার্কেটিং এর বিভিন্ন কলা কৌশল গুলো । জেনে থাকে এবং সেগুলো ব্যবহার করার ফলে তার ব্যবসা দিন দিন সমৃদ্ধশালী হয়ে যাবে ।

মার্কেটিং এর তুলনায় কয়েক গুণ বেশি জনপ্রিয় হচ্ছে ডিজিটাল মার্কেটিং । যার কারণে ডিজিটাল মার্কেটিং জানা অবশ্যই অবশ্যই দরকার । ডিজিটাল মার্কেটিং হল বর্তমানে দ্রুতগতিতে বৃদ্ধি পাওয়া মার্কেটিং এর একটি সেরা মাধ্যম যার মাধ্যমে অনেক কম টাকা খরচ করে অধিক লক্ষ্যবস্তু গ্রাহকের কাছে পণ্যের বা ব্র্যান্ডের মার্কেটিং করা খুবই ইজি এক কথায় সম্ভব ।

আস্তে আস্তে মার্কেটিং এর এই জনপ্রিয় মাধ্যম দিয়ে অন্যান্য মার্কেটিংয়ের মাধ্যম গুলোকে পিছনে ফেলে এগিয়ে চলে আসছে 2025 সালে সব কিছু ডিজিটাল মার্কেটিং এর আওতায় চলে আসবে । যাতে করে বিভিন্ন উদ্যোক্তা কিংবা বড় বড় ব্যবসায়ীরা তাদের ব্যবসাকে অনলাইনে ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে মার্কেটিং করে তাদের পণ্যকে সেল করতে পারেন । 

খুব সহজেই কম টাকা খরচ করে লক্ষাধিক গ্রাহকের কাছে তার পণ্যের প্রচার করা । কেন এই ডিজিটাল মার্কেটিং এর চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলবে তার একটি উদাহরণ আপনাদের সামনে তুলে ধরলাম । এখন সময়ে বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ৬০% লোক ইন্টারনেট ব্যবহার করছেন, দুই বছর আগে এই সংখ্যা ছিল 40% ।

তাহলে বিষয়টা একটু খেয়াল করে দেখুন যে দুই বছর আগে ছিল ৪০% এবং দুই বছর পর সেটি ৬০% এ পরিণত হয়েছে । তাহলে আপনি বুঝতেই পারছেন যে প্রত্যেক বছরে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের সংখ্যা কতটা দ্রুত গতিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে । আর ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পূর্ণরূপে ইন্টারনেটের সাথে জড়িত একটি সেবা , 

তাই ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের সংখ্যা দিন দিন যতটা বৃদ্ধি পাবে ততটাই ডিজিটাল মার্কেটিং জনপ্রিয় হয়ে দাঁড়াচ্ছে এবং আরো দাঁড়াবে । তাহলে আপনি অবশ্যই বুঝতে পেরেছেন যে আপনার দ্বারা কোন কাজ করলে আপনার ভবিষ্যৎ সুন্দর হবে এবং আপনি লাইফে সাকসেস হতে পারবেন । আপনার যদি প্রবল ধৈর্য শক্তি এবং আর ইচ্ছা থাকে তাহলে আপনি সাকসেস ।

সেটার জন্য অবশ্যই লেগে থাকতে হবে এবং মন দিয়ে কাজ করতে হবে কাজ শিখতে হবে । ডিজিটাল মার্কেটিং করে আপনি খুবই দ্রুত ইনকাম করতে পারবেন এবং এর এডভান্স কাজ আপনি যত শিখবেন আপনার ইনকাম ততই বৃদ্ধি পাবে এবং আপনার জীবন সুন্দর হবে উজ্জ্বল হবে ভবিষ্যৎ । আশা করি আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনাকে ডিজিটাল মার্কেটিং এর বিষয়বস্তুগুলি বোঝাতে পেরেছি ।

NB :- ছয়টি ক্যাটাগরির মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি সেক্টর হচ্ছে ডিজিটাল মার্কেটিং এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনাদেরকে আমি ডিজিটাল মার্কেটিং এর কনসেপ্টগুলো তুলে ধরেছি এবং বাকি পাঁচটি ক্যাটাগরি এই আর্টিকেলে প্রকাশ করা হয়নি তো বাকি পাঁচটি ক্যাটাগরির সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন ।

ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে বায়ার কাকে বলা হয়

ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে মার্কেটপ্লেস এর বায়ারদের এক্সাম্পল দিব । এক কথায় সহজ ভাষায় বলতে গেলে যিনি কোন কাজ দিয়ে থাকেন অনলাইনে মার্কেটপ্লেসে কিংবা লোকাল মার্কেট প্লেসে যদি কেউ কোন কাজ দিয়ে থাকেন তাহলে তাদেরকে বলা হয় বায়ার / ক্লায়েন্ট । যে পক্ষ কাজ দিয়ে থাকেন তাদের পক্ষে লোকজনকে বায়ার / ক্লায়েন্ট বলা হয় ।

ফ্রিল্যান্সিং হলে ইন্টারনেটের মাধ্যমে কম্পিউটার দিয়ে নির্দিষ্ট থাকার বিনিময়ে বিভিন্ন ব্যক্তির বা অন্যের কাজ করে দেওয়ার মাধ্যম কে ফ্রিল্যান্সিং বলা হয় । ফ্রিল্যান্সিং এর দুইটা দিক থাকে একটা হচ্ছে বায়ার এবং অন্যটা হচ্ছে সেলার । তো বায়ার কাকে বলে সহজ ভাষায় যিনি কাজ দিয়ে থাকেন তাকে বায়ার বলা হয় এবং যিনি কাজ করে দেয় তাকে সেলার বলা হয় । 

যেমন বায়ারদের কোন কিছুর প্রয়োজন হলে তারা মার্কেটপ্লেসে এসে ফ্রিল্যান্সারদের কাজ বুঝিয়ে দিয়ে কাজ আদায় করে নিতে পারেন । ফ্রিল্যান্সিং এর ক্ষেত্রে সবচেয়ে মজাদার এবং স্বাচ্ছন্দের বিষয় হচ্ছে বায়ার কিংবা ফ্রিল্যান্সার । সবাই নিজের পছন্দ মত ব্যক্তি প্রতিষ্ঠান এবং বায়ার সেলার নির্বাচন করতে পারে । বায়ার অনেক ধরনের হতে পারে যেমন মার্কেটপ্লেস বায়ার এন্ড লোকাল বায়ার ।

সেলারও অনেক ধরনের হতে পারে যেমন মার্কেটপ্লেস সেলার অ্যান্ড লোকাল সেলার । আশাকরি আপনি এই আর্টিকেলের মাধ্যমে বায়ার কি ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে বায়ার কাকে বলে সেটি বুঝতে পেরেছেন এবং আপনার ধারণা ক্লিয়ার হয়েছে ।

লেখকের মন্তব্যঃ

এই ছিল আমাদের মূলত বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি এবং ফ্রিল্যান্সিং এর কোন কাজ শিখলে আপনি দ্রুত আগাবেন এবং কোন কাজে সবচেয়ে সফলতা বেশি আপনার দ্বারা কোন কাজটি ভালো হবে ? এবং নতুন অবস্থায় আপনি কোন মার্কেটপ্লেসটি বেছে নেবেন সব কিছু উপরোক্ত আর্টিকেলের মাধ্যমে আমরা আপনাকে বোঝানোর চেষ্টা করেছি ।

আশা করি এ সম্পর্কিত যা খুঁজছিলেন google এ সব কিছুই এই আর্টিকেলে কে পেয়ে গিয়েছেন । এখন সময় এসেছে কাজ করার । আপনার মূল্যবান সময়টুকু কাজে লাগিয়ে নিজেকে ডেভলপ করুন ।আর এই রিলেটেড আরও যদি কিছু জানার থাকে আপনার যদি কোন কিছুতে কনফিউশন থাকে সেক্ষেত্রে, কমেন্ট করে জানাতে পারেন ।

আমরা অবশ্যই আপনার মূল্যবান কমেন্টের উপর ভিত্তি করে পরবর্তী আর্টিকেল লিখব ইনশাল্লাহ ধন্যবাদ ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নিতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url